মুনশি জাকির হোসেন : বিষয়টি এমন যেন, সব কিছুই রেডি আছে তোরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আয়, আমি স্বীকৃতি দেবো! বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের দিনই সৌদির স্বীকৃতিই প্রমাণ করে এগুলো পরস্পর সম্পর্কিত। এই সৌদি শয়তান হলো পলিটিক্যাল ইসলামের অ্যাপিসেন্টার। একাত্তরের পর দেশীয় রাজাকার, আলবদর, আল শামসসহ সব শয়তান আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলো। এদের বেশিরভাগই গিয়েছিলো সৌদি আরবে। এই শয়তানদের মধ্যের অন্যতম ছিলো গো আযম। এই রাজাকার শিরোমণি সৌদিতে যেয়ে জঘন্য মিথ্যাচার শুরু করে। বাংলাদেশ হিন্দুস্তান হয়ে গেছে। এখানে মুসলমানদের উপর গণহত্যা চলছে, এখানে সব মসজিদ, মাদ্রাসা ধ্বংস করে মন্দির বানানো হয়েছে। এখানে আজান দেয়া যায় না। এরা এ রকম অজ¯্র অপপ্রচার চালাতো। এর ফলে বাংলাদেশের স্বীকৃতি তো দূরের কথা সাধারণ নাগরিকদের হজ করার অনুমতিও দিতো না। ষোলো আগস্ট বাংলাদেশকে ইসলামী রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়। রেডিওতে ইসলামী সংগীত, গজল, হামদ না’ত পরিবেশন করা হয়। ২০১৯ সালে এসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এক উদ্ভট কাজের আয়োজন করে। পলিটিক্যাল ইসলামের ধারাতে আলোচনা, পোস্টার, সংগীত, গজল, হামদ, না’তের আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবসে ধর্মের রীতি, আচার মেনে মসজিদ, গির্জা, মন্দির, প্যাগোডাতে দোয়া, উপাসনা, প্রার্থনার আয়োজন, আলোচনাতে সমস্যা নেই, সমস্যার সুযোগও নেই। বঙ্গবন্ধু তো ধার্মিক ছিলেন, এটি তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, বলতেন। তিনি ধর্মনিরপক্ষতার একটি সুন্দর, সাবলীল সংজ্ঞা দিয়েছিলেন। কিন্তু সমস্যা হলো বঙ্গবন্ধুর স্মরণে পলিটিক্যাল ইসলামের ফরমেটে ছাত্রলীগের কর্মসূচি নিয়ে। এই ছাত্রলীগ আবার দায়সারা এক প্রেসনোট দিয়ে সেটি অস্বীকার করেছে। হাজার হাজার পোস্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগানো, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট ভাড়া নেয়া, অতিথি নির্বাচন, অতিথিদের দাওয়াত দেয়া, এগুলো কি তাহলে ভূতে করলো? এই জঘন্য অপকর্মের জন্য ছাত্রলীগ ক্ষমা প্রার্থনা করেনি, করার প্রয়োজনও মনে করেনি। সকলেই বিষয়টি মেনে নিয়েছে। যেন কিছুই ঘটেনি। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :