নূরী জাহানারা : ‘Madrassa’- শব্দটি একটি আরবি শব্দ। এর মানে বিদ্যালয়। এগুলো যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে সম্পূর্ণ মোল্লাদের করতলগত, তা একটা আগ্রাসী আচরণ। এই গোষ্ঠীর হাত থেকে এসব বিদ্যালয় উদ্ধার করা জরুরি। মাদ্রাসায় শুধু কোরআন শিক্ষা হবে তা ঠিক নয়। এতে যেকোনো বিষয় পাঠ হতে পারে। এমনকি কোরআন পাঠ না হলেও তা মাদ্রাসা হতে পারে। সেকুলার, নাস্তিক, কুরান পড়ুয়া যে কেউ সেখানে শিক্ষকতা করতে পারা উচিত। কিন্তু মৌলবিদের রাজনীতির কারণে এই বিষয়টি কেউ চিন্তাই করছেন না। বিএনপির আমলে আন্তর্জাতিক সংস্থার একটা বিপুল পরিমাণ ঋণের অর্থ মাদ্রাসা উন্নয়নের নামে মোল্লাদের অর্থনীতিকে চাঙা করেছে। ওই প্রকল্পের পরিচালক এককালে আমার শিক্ষক ছিলেন। অত্যন্ত বুদ্ধিমান, শিক্ষিত একজন মানুষ কিন্তু বিএনপির সমর্থক। তার সাথে দেখা হলে আমি বলেছিলাম, ‘স্যার আপনি খুব শিগগিরই আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবেন’। মাত্র নয় মাসে তার তিনটা প্রমোশন হয় ও তিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক সেক্টরের প্রধান হন।
তিনি বলেছিলেন, মৌলবিরা যদি সরকারি কারিকুলাম পড়ান তাহলে তারাও সচেতন হবেন। তিনি জানেন না মূর্খ মাতৃভাষা না জানা ও কোরআন সঠিক বুঝতে না পারা এই মৌলবিরা নিজের লেখা আরবীয় বাংলা পড়ায় সূরা পড়ানোর সুরে। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে- প্রায় দুই ঘণ্টার রেকর্ডেড ভিডিও। এ প্রসঙ্গে ইতিহাসের একটি কথা না বললেই নয়। ইমাম গাজ্জালীর মৃত্যুর পর তার একটি কথা ব্যবহার করে সুন্নিরা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি পর্যায়ের মাদ্রাসার মাধ্যমে গোটা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে দেয় এই ধারণা যে ইসলামে বিজ্ঞান, গ্রীক ফিলোসফি ও যুক্তিবাদ জাতীয় বিষয়বস্তু পাঠ হারাম। মাদ্রাসা কীভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে এটা তার একটি উদাহরণ। কোনো একদিন এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখবো। সরকারের জন্য ... হবে মাদ্রাসাকে মূল একটি শিক্ষা কারিকুলামের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলে মাদ্রাসা বোর্ড বিলুপ্ত করে দেয়া। দেশের স্বার্থে এটি অত্যন্ত জরুরি। সরকারের আরও একটি কাজ করা উচিত। মধ্যপ্রাচ্যের ও অন্যান্য দেশ থেকে যে সব রাজনৈতিক দল দেশের দরিদ্র মানুষদের কথা বলে যাকাত সংগ্রহ করে তাদের যাকাত গ্রহণ বন্ধ করা ও তাদের কাজ মনিটর করা। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :