সাইফুর রহমান : মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাশিদা তালিব এবং ইলহান ওমরকে ইসরায়েল সফরের অনুমতি দেবে বলেও ট্রাম্পের বাধার মুখে অনুমতি দেয়নি ইসরায়েল। পরেরদিন ইসরায়েল রাশিদাকে মানবিক কারণে পশ্চিম তীরে তার পরিবারের সাথে দেখা করার অনুমতি দেবে এমন বিবৃতি দেয়। তবে তিনি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে বলেন, ইজরাইলি নিষেধাজ্ঞা তার জন্য অবমাননাকর। রয়টার্স
ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘রাশিদা তালিব তার দাদিকে দেখতে যেতে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে ইসরায়েলের কাছে। তার আবেদন দ্রুততার সাথে গ্রহণ করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ট্রাম্প ব্যঙ্গ করে বলেন, এখানে একমাত্র বিজয়ী তালিবের দাদী কারন তার নাতনীকে আর দেখতে হবে না তার।’
৯০বছর বয়সী মুফতিয়া তালিব হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘রাশিদা আসছে না তাই ট্রাম্প আমাকে খুশি হতে বলেছে,ঈশ্বর তাকে ধ্বংস করুক।’ রাশিদার চাচা বাসাম তালিব বলেন, নানী-নাতনি ২০০৬ সাল থেকে একে অপরকে দেখেনি। সে আসবে বলে নানি তার জন্য ভেড়া জবাই করবে,তার পছন্দের খাবার রান্না করবে। রাশিদা এই বৃদ্ধাকে তার দ্বিতীয় মায়ের দৃষ্টিতেই দেখেন,তার সাফল্যের সবচে বড় অনুপ্রেরণা তার দাদি,এমন মন্তব্য রাশিদার।
ইসরাইল সফরের অনুমতি দিয়ে তাকে কি কি শর্ত দেয়া হয়েছে তার বিস্তরিত বলেন নি রাশিদা । ইসরাইলি মিডিয়া জানায়, তিনি ইজরাইয়েলকে বয়কট করার প্রচারণায় অংশ নেবেন না এই মর্মে আবেদন করেছেন। তালিব এবং ওমর দু’জনেই ফিলিস্তিনের দখলদার বিরোধী আন্দোলন বিডিএস মুভমেন্টের সমর্থক। ইসরায়েলি দখলদারিত্ব নিয়ে ইসরাইলের বিরোধীতা করে গেলে তাদের ইসরায়েলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া নাও হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :