মহসীন কবির : আড়ৎদাররা চামড়া না কেনায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে প্রায় ৮ কোটি টাকার চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে। দাম না পাওয়ায় এক লাখ ২০ হাজারের বেশি চামড়া সড়কে ফেলে প্রতিবাদ জানান মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। খবর সময় টিভি
এ জন্য পাইকাররা দুষলেন সিন্ডিকেট আর ট্যানারি মালিকদের। রপ্তানির সিদ্ধান্ত এক সপ্তাহ আগে নিলে এ শিল্পের এতো ক্ষতি হতোনা বলেও জানান তারা। বর্জ্য হিসেবে ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার জন্য কোটি কোটি টাকার নষ্ট চামড়া ট্রাকে তোলার দৃশ্য জানান দেয় এ শিল্পে নজীরবিহীন ধসের কথা ।
এতে সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৌসুমী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। শেষ সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে হাজারো ব্যবসায়ী। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক টাকা লস, পথে বসে গেছি। তিন লাখ টাকার চামড়া কিনে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছি।
দাম না পাওয়ায় পড়ে থেকে পচে গেছে এতিমখানাগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া দানের চামড়াও। ভবিষ্যতে এতিমখানাগুলো কিভাবে চলবে তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তা ভর করছে পরিচালকদের। আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোছাহেব উদ্দীন বলেন, যাদের টার্গেট ছিল চামড়া থেকে টাকা সংগ্রহ করে মাদ্রাসা চালাবো তারা কিন্তু প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আড়ৎদাররা বলছেন, ১ লাখ ২০ হাজার কাঁচা চামড়া নষ্ট হওয়ায় তাদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮কোটি টাকার মতো। আড়ৎদার সমবায় সমিতি সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, আমরা যতটুকু সঙ্কুলান করা সম্ভব করেছি, বাকীগুলো পারিনি। না পারার কারণে ওগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আড়ৎদার সমবায় সমিতি সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, সরকার যেভাবে কাঁচা চামড়া রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিলো, সেটা যদি আগে করতো তাহলে আমরা চামড়া কিনে ফেলতাম। চামড়া নষ্ট হতো না।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকা চামড়া সরিয়ে ফেলতে ২৪ ঘন্টা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। সচিকের পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার ফোরকান বলেন, যতক্ষণ শেষ না হয় ২৪ ঘণ্টা কাজ চলতে থাকবে।
বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৫ লাখ লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও সমিতি ও বাইরের মিলিয়ে ২৭০ জন আড়ৎদার ৭০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ করেছে বলে দাবি তাদের। পচে নষ্ট হয়ে গেছে ৩০ শতাংশ চামড়া।
আপনার মতামত লিখুন :