হ্যাপি আক্তার : ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, শিক্ষক স্বল্পতাসহ নানা সংকটে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ পরিস্থিতি কাটাতে ৩৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ১০:০০।
প্রকল্পের আওতায় বিদ্যালয়গুলোকে আকর্ষণীয় করা, ভবন নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ নানা কাজ করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
লক্ষ্মীপুরের কুশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে এর কার্যক্রম। স্কুলটিতে ৭’শ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র ৮ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতেই স্কুলে পড়াশোনা করতে হয়।
সারা দেশে কুশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্কুল কম নয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১৬ হাজার ১০৬টি স্কুলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস চালাতে হচ্ছে। জরাজীর্ণ ভবন আছে ৩৯ হাজার ৬১৪টি স্কুলে। শিক্ষকের পদ খালি আছে ৬৩ হাজার।
মন্ত্রণালয় বলছে, সংকট কাটাতে মেগা প্রকল্প নিয়েছে তারা। প্রকল্পের আওতায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ৪০ হাজার অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা হবে।
আধুনিক শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ৭১ হাজার ৮০৫টি ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থী উপস্থিতি বাড়াতে পর্যায়ক্রমে চালু হচ্ছে মিড ডে মিল।
প্রথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম-আল-হাসান বলেন, যে উদ্যোগগুলো নেয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে আগামী এক বছরের মধ্যে কোনো জরাজীর্ণ বিদ্যালয় থাকবে না।
শিক্ষাবিদেরা বলছেন, প্রকল্পের সুফল পেতে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহযোগী অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, প্রথমিক শিক্ষাখাতে যদি অগ্রাধিকারের বিষয়টি নজর দেয়া হয় তাহলে সমস্যাগুলোর সমাধান হবে।
প্রাথমিক শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে একদিকে বিদ্যালয়গুলোকে আকর্ষণীয় করতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষার কারিকুলামের দিকেও নজর দিতে হবে। তাহলেই শিক্ষার প্রকৃত মান অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্পাদনা : রাশিদ/মঈন
আপনার মতামত লিখুন :