রাশিদ রিয়াজ : জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করে ভারত সরকার, জীবনহানি অথবা বিধিনিষেধ, এই দুটোর মধ্যে বিধিনিষেধকেই বেছে নিয়েছিল দেশটির সরকার। গত ৪ অগাস্ট থেকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরকে। জম্মুতে সরকার কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যদিও কাশ্মীরে আরও "কিছু সময়ের জন্য" অব্যাহত থাকবে ওই কড়া বিধিনিষেধ, বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন সেখানকার এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে বলে ওই পুলিশ কর্তা আরও জানান যে এই থমথমে পরিস্থিতিতেও উপত্যকায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পর্যায়ক্রমে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি সরিয়ে নেওয়ার কথা বলার ঠিক একদিন পরেই নিষেধাজ্ঞা শিথীল করার এই ঘোষণা করা হল।
জম্মুতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলি পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কাশ্মীরের কিছু জায়গায় এখনও কিছু সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে, শ্রীনগরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের অধিকর্তা মুনির খান এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, প্যালেটের ঘায়ে আক্রান্ত কয়েকজনের এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে। ওই পুলিশ কর্তা আরও বলেন, এই মুহুর্তের মূল লক্ষ্য হ'ল রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিশ্চিত করা।
মঙ্গলবার, জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করে সরকার, জীবনহানি অথবা বিধিনিষেধ, এই দুটোর মধ্যে বিধিনিষেধকেই বেছে নিয়েছিল সরকার।
দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি সহ কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতা আটক রয়েছেন এখনও। ৫০,০০০-এরও বেশি নিরাপত্তা রক্ষী জম্মু ও কাশ্মীরের রাস্তায় প্রহরারত রয়েছেন এবং ফোন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট এখনও বন্ধ রয়েছে। এনডিটিভি