শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৫:২৮ সকাল
আপডেট : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ০৫:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ আমাদের আরেক স্বাধীনতার দিন

আর রাজী, ফেসবুক থেকে, স্বাধীনতা যে কী অমূল্য তা গভীরতরভাবে উপলব্ধি করলাম কুতুপালং রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবিরে কয়েকটা দিন কাটিয়ে। "স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে?" - জীবনকে অর্থহীন করে দেওয়া এই প্রশ্ন নিয়ে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের কী ভয়ানক, বিভৎস, দুর্বিষহ জীবন!
হায় স্বাধীনতা!

বাংলাদেশের মানুষ যে কী সৌভাগ্যবান তা প্রতিটি নিঃশ্বাসে হাড়ে-মজ্জায় অনুভব করছে ওই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু আবালবৃদ্ধবণিতা। ওরা হয়তো জানে কিংবা এখন উপলব্ধি করে, অগণিত মানুষের জীবন বিসর্জনের বিনিময়ে, ত্যাগে, তিতীক্ষায় পাওয়া যায় এই স্বাধীনতা! কিন্তু আমাদের স্মৃতিতে কি ক্ষয় ধরেছে? ঘুন ধরছে কি গৌরবের কড়িকাঠে?

দু দু’বার স্বাধীন হয়েছে এমন রাষ্ট্র, এমন জাতি বিশ্বে প্রায় বিরল। আমরা সেই বিস্ময়কর দেশ, আমরা সেই বিস্ময়কর জাতি যারা ছলে আর বলে শক্তিধর দুই দুইটা রাষ্ট্রের কাছ থেকে দুই দুই বার ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতা! তাহলে আজ আমাদের বিজয়ের কোনো উদযাপন নাই কেন?

আজ ১৪ই আগস্ট! আমাদের প্রথম স্বাধীনতার দিন। পাকিস্তান তৈরি করেছিল এই বাংলার মানুষ। সে লন্ডন বা দিল্লির শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তি চেয়েছিল, তার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছিল, রক্ত দিয়েছিল, সমূহ অনিশ্চয়তাকে বরণ করে নিয়ে স্বাধীনতা চেয়েছিল- আজকের এই দিনে সে জয়ী হয়েছিল। হোক পোকায় কাটা; একটুকরো নিজের, একান্ত নিজের আবাসভূমি সে জিতে নিয়েছিল। আধুনিক বিশ্বে সেই ছিল তার প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ!
কী অমিত সৌভাগ্য আমাদের যে "হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান" দর্শনের দাপাদাপি থেকে আজ আমরা মুক্ত। এই মুক্তির প্রথম সোপান তো ছিল এই ১৪ই আগস্টই। যত দরিদ্রই হই আমরা, যত ব্যর্থতাই থাকুক আমাদের- এর চেয়ে বড় সুখ-শান্তি আর তৃপ্তির কী থাকতে পারে যে, আমরা বাঙালীরা একটা স্বাধীন ভূখ-ের মালিক! আমাদের আছে মাতৃভূমিতে "মরিবার মতো ঠাঁই"!

কারও দয়া নয়, অনুকম্পা নয়, রক্তচক্ষু শাসন নয়, আজ আমাদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রণ আমাদেরই হাতে! আমরা স্বাধীন। এ কথা হয়তো আমরা জানি, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। পরদেশের, ভিন্ন জাতির হাতে এই ভূখ-ের মানুষ বহুবার পরাস্ত হয়েছে, তার স্বাধীনতা হারিয়েছে। মূলত অসচেতনতার কারণে অতীতে সে তার স্বাধীনতা খুঁইয়েছে বারংবার। আজও, যদি আমরা অতীত ভুলে যাই, সতর্ক না হই, যদি বেখেয়াল, বেখবর থাকি, রত থাকি আত্মকলহে, যদি গণতন্ত্র, মানুষে মানুষে সাম্য, প্রতিটি মানুষের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই, আমরা আবার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলবো নিশ্চিত। আর একবার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেললে শত শত বা হাজার বছরেও হয়তো জুটবে না মুক্তবায়ুর সামান্য স্বাদও।

আজ ১৪ই আগস্টে, আমাদের নিকট অতীতের আরেক স্বাধীনতা দিবসে তাই সশ্রদ্ধ সালাম জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের সেই সব বীর পূর্বপুরুষদের যাঁরা অসভ্য বৃটিশদের খেদিয়ে আমাদের প্রথম বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আসুন, আজ এই ১৪ই আগস্টে, তাঁদের নামে আবার আমাদের শপথ নবায়ন করে নেই, "স্বাধীনতার জন্য তোমাদের দেওয়া রক্ত ও ত্যাগের মর্যাদা আমরা জীবন দিয়ে অক্ষুন্ন রাখবো।"

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়