মির্জা ইয়াহিয়া : অতি সম্প্রতি নতুন অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষিত হয়েছে। এখন থেকে আগের মতো আর বছরে দুইবার নয়, একবারই মুদ্রানীতি ঘোষিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত এবারের মুদ্রানীতি নিয়ে সম্প্রতি প্রথম আলোতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও ডিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি হোসেন খালেদ।
যেখানে তিনি বলেছেন, ‘সরকারি ঋণ অনেক বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারেন, অর্থনীতি কি তাহলে সরকারি খাতনির্ভর প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে চায়?’ তিনি যথার্থই বলেছেন। কারণ মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণে লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। এ খাতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি আগের অর্থবছরে ছিলো ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এ হিসাবে ২ দশমিক ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। সাক্ষাৎকারে হোসেন খালেদ সাহেব আরও বলেছেন, ‘আমরা অভ্যন্তরীণ খাতনির্ভর ব্যবসায়ীরা কী দোষ করেছি যে আমাদের ক্ষেত্রে উৎসে কর ধরা হলো ৫ শতাংশ। এতে কেউ যদি মোট লাভ ১০ শতাংশ করেন, তার উপর কর দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ। নিট লাভের হিসাবে কর কিন্তু ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।’ কর নিয়ে তার এই উদ্বেগ বাস্তবসম্মত। এবার করের হার অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু বেড়েছে। যা ব্যবসায়ীদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক নয়। অন্যদিকে কর বাড়ায় বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষও আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে হিমশিম খাচ্ছে। অর্থনীতির ক্ষেত্রে সরকার ব্যবসাবান্ধব সিদ্ধান্ত নেবে, এটা চাই আমরা। জনজীবনে যাতে স্বস্তি থাকে... এ বিষয়ে নজর দেয়াও সরকারের কর্তব্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :