স্পোর্টস ডেস্ক : গত বছর কেপ টাউন টেস্টে বল কেলেঙ্কারির কান্ড করেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ, ডেবিড ওয়ার্নার ও কেমেরন ব্যানক্রফট। এর জন্য শাস্তিুও পেয়েছিলেন এই ক্রিকেটাররা। এক বছর ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার হয়েছেন তারা। বিশ্বকাপ দিয়ে জাতীয় দলে পর্দাপণ হয় স্মিথ ও ওয়ার্নারের। চলতি অ্যাশেজ টেস্ট দিয়ে শুরু করেছেন লঙ্গার ভার্সনের খেলা। অ্যাশেজের প্রথম দিনই শিরিষ কাগজ দেখিয়ে ওয়ার্নারকে বিদ্রুপ করা হয়। স্মিথকেও ওয়ার্নারের মতো বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছিলো। ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে বুক চিতিয়ে যত রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, বিদ্রুপের মাত্রা ততোই বেড়েছে। এমনকি তার ক্রন্দনরত মুখোশ পরে দর্শকরা ক্রমাগত কটাক্ষ, উপহাস করে গেছেন স্মিথকে। তা সত্তে¡ও মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটেনি স্মিথের। উপহাসুব্যঙ্গ উপেক্ষা করে টেস্টে ২৪তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন স্মিথ।
ব্রিটিশ দর্শকদের আচরণ তাকে বিচলিত করেনি, জানান স্মিথ। বলেন, ‘দর্শকদের আচরণে মোটেও বিরক্ত হইনি। সতীর্থরা আমার পাশে আছে, এটাই আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। সেঞ্চুরির পর যখন ড্রেসিংরুমের ব্যালকনির দিকে তাকিয়েছিলাম, দেখছিলাম সতীর্থরা পাগলামি শুরু করেছে। ওদের দেখে আমার শিরদাঁড়ায় শিহরন জেগেছিলো। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে সেঞ্চুরি পেয়েছি। এটা আমার কাছে অসাধারণ মুহূর্ত।’
নির্বাসিত হওয়ার পর স্মিথ নিশ্চিত ছিলেন না আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন কিনা। তিনি বলেন, ‘১৫ মাস আমার মধ্যে কী ঘটেছে তা একমাত্র আমিই জানি। আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারব কিনা নিশ্চিত ছিলাম না। ক্রিকেটের প্রতি আবেগ, ভালবাসা হারিয়ে ফেলেছিলাম। বিশেষ করে যখন কনুইয়ে অস্ত্রোপচার হয়েছিলো, তখন মনে হয়েছিলো আর ক্রিকেটে ফিরতে পারব না। সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবার ক্রিকেটকে ভালোবাসতে শুরু করি।’
সেঞ্চুরি করার পরও যেভাবে স্মিথকে বিদ্রুপ করা হয়েছে, বিরক্ত গ্লেন ম্যাকগ্রাথ। বলেন, ‘শুরুর দিকে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে। তবে সারাক্ষণ এটা চলা উচিত হয়নি। বিশ্বকাপের সময়ও এই ধরনের ঘটনা দেখেছিলাম। ১৬ মাস আগের ঘটনার রেশ এখনও চলছে। মানুষ মাত্রই ভুল হয়। ওরা ভুলের মাশুল দিয়েছে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পরেও যেভাবে স্মিথকে বিদ্রুপ করা হয়েছে, খুবই হতাশাজনক।’
আপনার মতামত লিখুন :