ইসলাম ডেস্ক : ডেঙ্গু যে মহামারি আকার ধারণ করেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন জায়গা থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার জন্য যেসব সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো আমরা সবাই মোটামুটি দেখেছি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সুরক্ষার নিয়তে এ দোয়া বিকালবেলা তিনবার পড়া যেতে পারে- (উচ্চারণ) ‘আউযু বিকালিমাতিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শার্রি মা-খলাক।’ অর্থাৎ, আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাগুলোর অসিলায় আমি তাঁর কাছে তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- এক লোক নবী (সা.) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! গত রাতে একটি বিচ্ছু আমাকে দংশন করার কারণে আমি বড় কষ্ট পেয়েছি। তিনি বললেন, যদি তুমি সন্ধ্যায় এ দোয়াটি পড়তে ‘আ’উযু বিকালিমাতিল্লা-হিত্ তা-ম্মা-তি মিন্ শার্রি মা-খলাক্’, তাহলে সে তোমাকে ক্ষতি করতে পারত না। (মুসলিম : ৬৬৩২)। যদিও ব্যাখ্যায় বিষধর প্রাণীর কথা এসেছে এবং মশা প্রচলিত অর্থে বিষধর নয়; তবু এডিস মশা ক্ষতিকর এবং প্রাণঘাতী বিবেচনায় দোয়াটুকু কার্যকরী হবে ইনশাআল্লাহ।
আর যদি জ্বর চলেই আসে, তাহলে নিচের আয়াতগুলো তিনবার করে পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন কয়েকবার খাবেন এবং গোসল করবেন : ক. সূরা ফাতিহা। খ. ৬টি শিফা তথা রোগমুক্তির আয়াত পড়া। সেগুলো হলো, সূরা তওবার ১৪ নম্বর আয়াত, সূরা ইউনুসের ৫৭ নম্বর আয়াত, সূরা নাহলের ৬৯ নম্বর আয়াত, সূরা বনি ইসরাইলের ৮২ নম্বর আয়াত, সূরা শুআরার ৮০ নম্বর আয়াত, সূরা হা-মিম সাজদাহর ৪৪ নম্বর আয়াত।
গ. সূরা আম্বিয়ার এ আয়াত : কুলনা ইয়া নারু কু-নি বারদাঁও ওয়া সালামান আলা ইবরাহিম। ঘ. সূরা ইনশিরাহ (আলাম নাশরাহ)। ঙ. সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস। জ্বরের রোগীর ওপর ইমাম আহমাদ (রহ.) সূরা আম্বিয়ার আয়াতগুলো দিয়ে রুকইয়া করেছেন বলে জানা যায়। আল্লাহ আমাদের সবধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও বিপদ থেকে হেফাজত করুন।
