ক্যাম্পাস প্রতিবেদক: রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সারণী প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ১৯৭৮-২০১৯ সাল পর্যন্ত সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সারণীকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক।
সারণীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কালো লোগো ব্যবহার না করে ব্যাবহার করা হয়েছে জাসদ ছাত্রলীগের লাল লোগো। এতে করে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজ ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীরা বলেন, বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমান মোহন এবং সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হাওলাদারের অবহেলার কারণেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কালো লোগো ব্যাবহার না করে জাসদ ছাত্রলীগের লাল লোগো ব্যবহার করা হয়েছে। এবং কি বাদ দেয়া হয়েছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এইচ এম রফিকুল ইসলাম হৃদয়ের নাম। এতে করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে এক ধরনের গ্রুপিং তৈরি করতে চায়।
এছাড়াও সারণী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এইচ এম রফিকুল ইসলাম হৃদয়ের নাম। ২০১৬ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে সভাপতি মামুন উর রশিদ মামুনকে বহিস্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ২০১৬ সালেরই তিন ডিসেম্বর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় এইচ এম রফিকুল ইসলাম হৃদয়কে। সবার নাম সারণীতে উল্লেখ থাকলেও সাবেক এ ভারপ্রাপ্ত সভাপতির নাম বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এইচ এম রফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, একজন বহিস্কৃত নেতার নাম সরণীতে থাকার কথা না থাকলে ও কলেজের বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকে তার নাম যোগ করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করেও আমার নাম সেখানে যুক্ত করা হয়নি। এতে করে তারা ছাত্রলীগের মধ্যে এক ধরনের বিভাজন করে পেলতে চায়।
এনিয়ে জানতে চাইলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদার বলেন, ২০১৬ সালে রফিকুল ইসলাম হৃদয়কে সম্মেলন করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্মেলন না হওয়ায় তার নাম সারনী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
জাসদ ছাত্রলীগের লোগো ব্যাবহারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা ভুল হয়েছে যা দ্রুত সংশোধন করা হবে।
এ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ বিষয়ক সহ-সম্পাদক সালাউদ্দিন জসিম বলেন, সারণীতে বহিস্কৃত নেতার নাম থাকতে পারে তবে নামের সামনে ব্রাকেটে বহিস্কার লিখা উল্লেখ অবশ্যই করতে হবে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত সভাপতির নাম ও থাকবে। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।