তারিক মিঠুল : আমি শুধু বলতে চাইছি, বিচার কেনো ট্রাম্পের মতো একটা জানোয়ারের কাছে? কেনো সাম্রাজ্যবাদের কাছে? এর দ্বারা প্রিয়া সাহা কি সুবিধা আশা করলেন? ব্যক্তিগত বাণিজ্যের জন্যই কি তার এই নালিশ? এটি মিথ্যাচার বা সত্যাচারের বিষয় নয়, বরং এটি নৈতিকতার প্রশ্ন। প্রশ্নটা সত্য-মিথ্যার নয়। সাম্রাজ্যবাদকে দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা নির্মূলের সুপারিশ কি ভয়ংকর তা বোঝা প্রয়োজন। দেশে অব্যাহতভাবে সাম্প্রদায়িক হামলা, আদিবাসীদের উপর নির্যাতন নিত্য দিনের বিষয়। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে সংখ্যালঘু নিধন বা নিশ্চিহ্ন করার পায়তারা বন্ধ নেই। জমি দখল, উচ্ছেদ, মন্দিরে ভাংচুর, ধর্ষণ আর খুনের ঘটনা চলমান।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে যারা জোর গলায় কথা বে�ন তাদের মনে রাখা উচিৎ যে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ২৯ ভাগ থেকে এখন ৯ ভাগেরো নীচে নেমে এসেছে! এর জন্য লড়াই আছে, এর জন্য সংগ্রাম আছে। কিন্তু তাই বলে ট্রাম্প? ট্রাম্প কে? যে তার কাছে হেল্প চাইতে হবে! এটার পিছনে আসলে কি মন্ত্র কাজ করছে তা বিজ্ঞজন মাত্রেই সহজে অনুমান করতে সক্ষম হবেন। দুটো বিষয় আসলে দু’রকম। একটি হলো, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়। সংখ্যালঘু নিশ্চিহ্ন করার প্রক্রিয়া চলমান। এর থেকে মুক্তি চাই। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও লিঙ্গের ব্যবধান না করে সকলে যেনো সমভাবে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে থাকা, চলাফেরা ও সব সুবিধা ও অধিকার পায়। এখানে কেউ যদি উল্টো পাল্টা বলে সামপ্রদায়িক সম্প্রীতিতে বাংলাদেশ এক নম্বর বা এখানে কোনো ঝামেলা নেই বলতে চান (যা অনেকেই বলছেন) তাহলে তা মিথ্যাচার। অন্যটি হলো, সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার কাছে কেনো বিচার। আমরা ট্রাম্পদের চিনিনা? নিশ্চয়ই চিনি। ওরা পারে না এমন কোনো খারাপ কাজ আছে নাকি? ওরা চাইলে এখনই বাংলাদেশের উপর হামলে পড়তে এতোটুকুও ভাববে না! ওদের যারা বিশ্বাস করে দেশের অসুবিধা দূর করতে সাহায্য চায় তারা আর যা-ই হোক, সংখ্যালঘু জাতি বা সম্প্রদায়ের কারোই মঙ্গল চাইতে পারে না। সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদ- এই দুই পক্ষই চরমভাবে দেশের জন্য ক্ষতিকর, একই সাথে সকল জাতি ও সসম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও জীবনের জন্য বিপদজনক। সুতরাং এই উভয় প্রকার ব্যক্তিই পরিত্যাজ্য। ফেসবুক থেকে