মো. তৌহিদ এলাহী : শুক্রবার ইরানের ব্রিটিশ তেলবাহী দুটি তেলের ট্যাংকার আটকের ঘটনায় ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলে ।ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)ব্রিটেনের তেলের ট্যাংকার দুটি আটক করে।এতে ২৩ জন নাবিক ছিল বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে ।বিবিসি
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে বলা হয় , হরমুজ প্রণালীতে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন লঙ্ঘন করার দায়ে ট্যাংকার দুটিকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবস্থাপনা দল জানায়, ‘তেল নিয়ে সৌদিআরবের পথে রওনা করা 'স্টেনা ইমপেরো' জাহাজটি হরমুজ প্রণালীতে গেলে জাহাজটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমরা জাহাজটির সাথে সংযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য, উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে গুলি করে ইরানের একটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় যার মধ্য দিয়ে উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।এর আগে মার্কিন বাহিনীর একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছিল ইরান।পরে ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। একই ঘটনার পরিক্রমায় এবার ইরান ট্যাংকার দুটি আটক করেছে।
এদিকে ট্যাংকার আটক ঘটনায় দুই মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, ব্রিটিশ পতাকাবাহী তেলবাহী ট্যাঙ্কার ‘স্টেনা ইমপেরো আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা বলেন, ইরান এ কাজ করেছে।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ ইরানের তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনার ব্যাপারে তিনি ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।’
তিনি আরো বলেন ,‘ আমাদের নাগরিকদের স্বার্থ, সম্পত্তি ও স্থাপনার নিরাপত্তা দেয়ার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে।জাহাজ চলাচল ও বিশ্ববাণিজ্যের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ করতে ইরানের চেষ্টা নিন্দনীয়। তিনি এ চেষ্টার নিন্দা জানাতে সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :