মাসুদ আলম : গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার আরিচপুর এলাকায় একটি মিনি ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩০ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। অন্যদিকে রাজধানীর ভাটারা থানার কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.কামরুজ্জামান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মিনি ট্রাকে করে মাদকের চালান ঢাকায় আসছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে মো. দুলাল, মো. ইব্রাহিম ও মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ওই মিনি ট্রাক তল্লাশি করে ৩০ কেজি গাঁজা, তিনটি মোবাইল ফোন ও নগদ আট হাজার ২০০ টাকা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজা পাচার এবং সেই চালান ট্রাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এই চক্রের সদস্য দুলাল ভারত থেকে গাঁজার চালান নিয়ে আসেন। এরপর মাদক ব্যবসায়ী করিমের কাছ থেকে ইব্রাহিম ও ফরহাদ মিনি ট্রাকে এই গাঁজার চালান ঢাকায় নিয়ে আসার পর ঢাকার সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন। মিনি ট্রাকটি মূলত গাঁজা পরিবহনে ব্যবহার করলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার এড়াতে গাড়িতে বিভিন্ন সময় বালু, ইট ও মাটি পরিবহন করতেন। দুলাল গত ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবে ছিলেন। তিনি গত পাঁচ মাস আগে দেশে আসার পর স্বল্প সময়ে বেশি আয়ের লক্ষ্যে করিমের পরামর্শে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
ইব্রাহিম পেশায় বালুশ্রমিক। তিনি বালু ব্যবসায়ের আড়ালে ট্রাকের হেলপারি ও মাদক ব্যবসা করেন। তিনি বালুর ট্রাকে গাঁজার চালান নিয়ে গাজীপুরে আসছিলেন বলে জানান। ফরহাদ পেশায় একজন ড্রাইভার। তিনি এই চক্রের সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। করিমের নির্দেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গাঁজার চালান নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে ডিবি জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় কুড়িল বিশ্বরোড বোরাক কার শো’রুমের সামনে থেকে ১৩ কেজি গাঁজাসহ মনিরুল ইসলাম, সাইফুল মিয়া ও সেলিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা গাঁজাগুলো প্লাস্টিকের ব্যাগ ও চটের বস্তায় করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহের পর ঢাকা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন।সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :