শিরোনাম
◈ খেলোয়াড়দের ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগ নিউটনের বিরুদ্ধে, শাস্তি চায় মানবাধিকার কমিশন ◈ দেশের উন্নয়ন দেখে সহ্য হচ্ছে না বিএনপিসহ মির্জা ফখরুলের: আইনমন্ত্রী  ◈ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে নব্য বাকশালী শাসন কায়েম করেছে: মির্জা ফখরুল ◈ স্থানীয় জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ◈ আশ্রয় আবেদন খারিজ হওয়ায় ১১ হাজার বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন  ◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৯, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাঁঠাল বোঝাই ট্রাকে ফেনসিডিলের চালান, গ্রেপ্তার ৮

মাসুদ আলম : রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৭১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজু আহম্মেদ, মো. মুন্না, মো. সাগর, মো. ইউসুফ, নূর ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর। তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, নগদ এক হাজার ৭০০ টাকা, একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থেকে কাঁঠাল বোঝাই ট্রাকে মাদকের বড় চালান ঢাকায় আসছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৭১৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রাজু আহম্মেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। এর আগে ঢাকা-খুলনা রুটে নৈশকোচে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার পর নৈশকোচ ছেড়ে ট্রাক চালানো শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রাকে মৌসুমি ফসল পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল রাজধানীতে নিয়ে আসছেন।

মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চালানপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন রাজু। মুন্না ও সাগর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চালানপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।

ইউসুফ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় উবারের গাড়িচালক। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করতেন তিনি। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করার আগে মাদক ব্যবসায়ী গণির সঙ্গে কাজ করতেন। গণি মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর তিনি এই চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।

রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নূর ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর এই চক্রের সদস্য। তারা মাদকের চালান সংগ্রহ করে ট্রাকে তুলে দিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর আগেই সেখানে পৌছে যান এবং স্থানীয় মাদক কারবারীদের কাছে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করেন। তারা প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত গাড়িতে করে মাদকের খুচরা চালান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেন। তারা বিরামপুরের মাদক ব্যবসায়ী মনসুরের হয়ে কাজ করেন।

সম্পাদনা: অশোকেশ রায়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়