মাসুদ আলম : রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৭১৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাজু আহম্মেদ, মো. মুন্না, মো. সাগর, মো. ইউসুফ, নূর ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর। তাদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন, নগদ এক হাজার ৭০০ টাকা, একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থেকে কাঁঠাল বোঝাই ট্রাকে মাদকের বড় চালান ঢাকায় আসছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ট্রাকটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৭১৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত রাজু আহম্মেদ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় ট্রাক ড্রাইভার। এর আগে ঢাকা-খুলনা রুটে নৈশকোচে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতেন। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার পর নৈশকোচ ছেড়ে ট্রাক চালানো শুরু করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রাকে মৌসুমি ফসল পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল রাজধানীতে নিয়ে আসছেন।
মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চালানপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন রাজু। মুন্না ও সাগর তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চালানপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
ইউসুফ জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তিনি পেশায় উবারের গাড়িচালক। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকার অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করতেন তিনি। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাজ করার আগে মাদক ব্যবসায়ী গণির সঙ্গে কাজ করতেন। গণি মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর তিনি এই চক্রের সঙ্গে কাজ শুরু করেন।
রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদে জানান, নূর ইসলাম, মফিজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর এই চক্রের সদস্য। তারা মাদকের চালান সংগ্রহ করে ট্রাকে তুলে দিয়ে গন্তব্যে পৌছানোর আগেই সেখানে পৌছে যান এবং স্থানীয় মাদক কারবারীদের কাছে পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করেন। তারা প্রাইভেটকার ও সিএনজি চালিত গাড়িতে করে মাদকের খুচরা চালান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পৌছে দেন। তারা বিরামপুরের মাদক ব্যবসায়ী মনসুরের হয়ে কাজ করেন।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়
আপনার মতামত লিখুন :