বিনোদন ডেস্ক : মডেল ও অভিনেত্রী শাহতাজ মনিরা হাশেম ছোটবেলায় টিভিতে কার্টুন দেখতেন অতিরিক্ত। তাই তিনি বাংলা ভাষাটা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেননি। তিনি বাংলা শব্দ উচ্চারণ করলেই সেটা কার্টুন প্যাটার্নের হয়ে যায়। গণমাধ্যমের কাছে এটা তার নির্লিপ্ত স্বীকারোক্তি। বছর পাঁচেক আগে বাংলালিংকের কলড্রপের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শোবিজে আবির্ভাব হয় তার। ছোট্ট ক্যারিয়ারে অল্প কয়েকটি নাটক আর মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করে প্রশংসিত হলেও নিজের বাংলা উচ্চারণ নিয়ে বরাবরই বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছে সিএ পড়ুয়া এ মডেলকে। তিনি জানান, আধেক বাংলা আর আধেক ইংরেজিতে কথা বলায় অনেকে ভাবেন, তার জন্ম দেশের বাইরে কিংবা বেড়ে উঠেছেন বিদেশ বিভূঁইয়ে। কিন্তু বিষয়টি আসলে তা নয়, তার জন্ম ও বেড়ে উঠা ঢাকায়। ঢাকায় জন্ম নিয়েও অনর্গল বাংলা উচ্চারণ রপ্ত করতে না পারার পেছনে বিদেশি কার্টুনকে দায়ী করলেন শাহতাজ। ‘বাচ্চাকাল থেকেই আমি ঘরে মানুষ হয়েছি। স্কুলিং সেরকমভাবে পাইনি।
সারাদিন বাসায় নিজের মতো করে থাকতাম।... আর কার্টুন দেখতাম নিয়মিত। ওখান (কার্টুন) থেকেই আমার এই (ইংরেজি) উচ্চারণটা ঢুকে গেছে, ফলে বাংলায় সমস্যাটা তৈরি হয়েছে।’বাংলা উচ্চারণ পুরোপুরি রপ্ত করতে নিজে থেকেই যোগাড়যন্ত্র শুরু করেছেন; এতে সার্বক্ষণিক নির্দেশনা পাচ্ছেন মায়ের কাছ থেকে। ‘আম্মু আমাকে সারাক্ষণ বলে, বাংলায় কথা বলো। আমাকে শেখায়। সে অনুপাতেই প্রাকটিস করি। আমার স্ক্রিপ্টও আম্মুই পড়ে দেয়। আমার চরিত্রের দৃশ্যায়নও তৈরি করে দেন। ংমায়ের অনুপ্রেরণায় আমি নিজের উন্নতির চেষ্টা করছি। আমার উন্নতি ঘটছে দেখে ভালো লাগছে।’ অভিনয়ে নিজের সেরাটা মেলে ধরার ক্ষেত্রে ভাষাগত জটিলতাকেই সবচেয়ে বড় বাধা মানছেন ‘চিনিগুড়া প্রেম’ নাটকের এ অভিনেত্রী। ‘এটা ঠিক করতে পারলে অভিনয়ে আমি আরও ভালো করবো। আমি যে ধরনের চরিত্র করি সেগুলোতে ইংরেজি উচ্চারণ একেবারেই যাচ্ছে না। আমাদের দর্শকদের ইংরেজি বুঝতে একটু কষ্ট হয়। ফলে আমার আরও বেশি বাংলায় সংলাপ বলা দরকার।’