লিহান লিমা: এই বর্ষায় তীব্র বৃষ্টিপাতে দক্ষিণ এশিয়ায় সৃষ্ট বন্যায় বাস্তুহারা হয়েছেন ৪০ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি, নিহত হয়েছেন ১৩০ জন। বৃষ্টিপাতের তীব্রতা জনজীবন বিপর্যস্ত করাসহ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ি। এশিয়া নিউজ
বাংলাদেশে তীব্র বৃষ্টিপাত ও বন্যার কারণে মোট ১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে ১ লাখ রোহিঙ্গা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ২৯জন নিহত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে আগামী ৪৮ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বন্যা পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশাসন খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ করছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শতশত স্কুল।
ভারতের দুই দরিদ্র ও প্রত্যন্ত অঞ্চল আসাম ও বিহার সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে আসামে ১০দিন ব্যাপী তীব্র বৃষ্টিপাতে লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বিহারে বন্যার পানি চরম সীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ এশিয়ার নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৭ সালে তীব্র বৃষ্টিপাতে নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৮০০জন নিহত হন। কয়েক লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়।
এবারে নেপালের বন্যায় ৬৪জন নিহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন ৩১জন। এরমধ্যে বেশিরভাগই ভূমিধ্বসের শিকার হয়ে নিজ বাড়িতে থাকা অবস্থায় আহত ও নিহত হয়েছে। ২০০৮ সালে বন্যার কারণে দেশটি সবচাইতে বেশি ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। দেশটির কোসি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে পড়ায় অঞ্চলজুড়ে বিপর্যস্ত পরিস্থিতির সৃষ্ট হয়, নিহত হন ৫০০জন।
আপনার মতামত লিখুন :