শিরোনাম
◈ অভিবাসন নীতিতে কঠোরতা; ইউরোপ না ছাড়লে হতে পারে দীর্ঘ সময়ের জেল ◈ ঋণের ফাঁদে আমরা ইতিমধ্যেই পড়েছি—এনবিআর চেয়ারম্যানের সতর্কবার্তা ◈ দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যে কঠোর বার্তা দিলেন তারেক রহমান ◈ ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সম্পন্ন: ইসি অনুমোদন দিয়েছে ৮১ সংস্থাকে ◈ মঞ্চে গালি দেওয়ায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হলো সাবেক সমন্বয়ককে, ভিডিও ভাইরাল ◈ আসিফ আকবর–ওমর সানীর ‘শব্দযুদ্ধ’ চরমে: ব্যক্তিজীবন নিয়ে মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সানীর ভিডিওবার্তা ভাইরাল ◈ জাতীয় সংগীত গাইতে গাইতে প্রিজনভ্যানে ট্রাইব্যুনাল ছাড়লেন পলক (ভিডিও) ◈ দেশের মা‌টি‌তে ৩ ফরম্যাটের সিরিজ খেলে জাতীয় দল থে‌কে অবসর নি‌তে চান সাকিবআল হাসান ◈ যুদ্ধ বিধস্ত সি‌রিয়া ও ফি‌লি‌স্তিন ফিফা আরব কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ◈ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৪৪ রাত
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন?

চাকা ছাড়া কি গাড়ি চলে? চলে না। তা তো সবাই জানি। তবে কখনো কি ভেবেছেন, সব গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন? গাড়ি তো বিভিন্ন রঙের হয়। তাহলে টায়ার কেন অন্য রঙের হয় না? জেনে নিন গাড়ির টায়ার কালো হওয়ার কারণ-

ইতিহাস বলছে, টায়ারের রং আগে সাদা ছিল। হঠাৎ রং পরিবর্তন হয়েছে। টায়ারের সাদা রংকে আভিজাত্যের প্রতীক ভাবা হতো। ‘ক্লাসিক’ গাড়ির পরিচয় ছিল এ সাদা টায়ার। যা পরিষ্কার করার জন্যও নিতে হতো বিশেষ ব্যবস্থা।

জানা যায়, টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রং হালকা ধূসর। টায়ার মজবুত করতে আগে এরসঙ্গে মেশানো হতো জিঙ্ক অক্সাইড। ফলে টায়ার হয়ে যেত সাদা। কিন্তু এখনো জিঙ্ক অক্সাইড মেশানো হয়। তাহলে এমন হচ্ছে কেন? এর পেছনে রয়েছে এক গল্প।

টায়ারের রং পরিবর্তনের বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন সাংবাদিক ডেভিড ট্রেসি। তিনি ফোর্ড গাড়ির একটি মডেলে দেখেন সাদা টায়ার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ১৯১৭ সাল থেকে টায়ার তৈরিতে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করেন।

তিনি জানান, গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয় কার্বন ব্ল্যাক। এটি টায়ারকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে যায় না। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। সংস্থাগুলোর দাবি, আগে যেসব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না, সেগুলো ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় চলত। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারগুলো এখন প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার চলে।

মূল কথা হচ্ছে, কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারের পেছনে অন্য একটি কারণও রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরিতে প্রচুর জিঙ্ক অক্সাইড দরকার ছিল। তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো বাধ্য হয়েই জিঙ্ক অক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করে।

এরপর থেকে টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু হয়। তবে এখনো কার্বন ব্ল্যাকের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ কার্বন ব্ল্যাকই টায়ার প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। ফলে টায়ারের রং কালো হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়