শিরোনাম
◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৪৪ রাত
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০১৯, ০৩:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন?

চাকা ছাড়া কি গাড়ি চলে? চলে না। তা তো সবাই জানি। তবে কখনো কি ভেবেছেন, সব গাড়ির টায়ার কালো হয় কেন? গাড়ি তো বিভিন্ন রঙের হয়। তাহলে টায়ার কেন অন্য রঙের হয় না? জেনে নিন গাড়ির টায়ার কালো হওয়ার কারণ-

ইতিহাস বলছে, টায়ারের রং আগে সাদা ছিল। হঠাৎ রং পরিবর্তন হয়েছে। টায়ারের সাদা রংকে আভিজাত্যের প্রতীক ভাবা হতো। ‘ক্লাসিক’ গাড়ির পরিচয় ছিল এ সাদা টায়ার। যা পরিষ্কার করার জন্যও নিতে হতো বিশেষ ব্যবস্থা।

জানা যায়, টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রং হালকা ধূসর। টায়ার মজবুত করতে আগে এরসঙ্গে মেশানো হতো জিঙ্ক অক্সাইড। ফলে টায়ার হয়ে যেত সাদা। কিন্তু এখনো জিঙ্ক অক্সাইড মেশানো হয়। তাহলে এমন হচ্ছে কেন? এর পেছনে রয়েছে এক গল্প।

টায়ারের রং পরিবর্তনের বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন সাংবাদিক ডেভিড ট্রেসি। তিনি ফোর্ড গাড়ির একটি মডেলে দেখেন সাদা টায়ার। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ১৯১৭ সাল থেকে টায়ার তৈরিতে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করেন।

তিনি জানান, গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয় কার্বন ব্ল্যাক। এটি টায়ারকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে যায় না। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। সংস্থাগুলোর দাবি, আগে যেসব টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার করা হতো না, সেগুলো ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় চলত। কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারগুলো এখন প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার চলে।

মূল কথা হচ্ছে, কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহারের পেছনে অন্য একটি কারণও রয়েছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরিতে প্রচুর জিঙ্ক অক্সাইড দরকার ছিল। তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো বাধ্য হয়েই জিঙ্ক অক্সাইডের পরিবর্তে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু করে।

এরপর থেকে টায়ারে কার্বন ব্ল্যাক ব্যবহার শুরু হয়। তবে এখনো কার্বন ব্ল্যাকের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জিঙ্ক অক্সাইড ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ কার্বন ব্ল্যাকই টায়ার প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়। ফলে টায়ারের রং কালো হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়