গীতিয়ারা নাসরিনের ফেসবুক থেকে: রঙ ফর্সাকারী প্রসাধনীর ক্ষতিকর উপাদান নিয়ে সচেতনতামূলক আলোচনায় জেন্ডার ইন মিডিয়া ফোরামকে এ বিষয়ে বিভিন্ন দেশে পরিচালিত গবেষণার তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিলেন অধ্যাপক আ.ব.ম ফারুক।
রঙ-ফর্সাকারী প্রসাধনী প্রস্তুত ও বাজারজাতকরণ যারা করেন, তাদের কেউ কেউ সে সময়েও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ভয় দেখিয়েছিলেন। আলোচনাসভা কাভার করতে যে গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, তারা সেই খবর প্রচার করতে পারেননি/করেননি। শুধু Munni Saha নিজ দায়িত্বে একটি সম্প্রচার করতে পেরেছিলো।
২০১১ সালে খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন রঙ ফর্সাকারী প্রসাধনীতে পারদ আছে এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছিলো -- তার বহুল প্রচার আমি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে দেখতে পাইনি। পক্ষান্তরে, রঙ ফর্সাকারী নানাবিধ প্রসাধনী ও প্রক্ষালণীর বিজ্ঞাপন প্রসার লাভ করেছে।
বাজারজাত দুধে যদি ক্ষতিকারক উপাদান থেকে থাকে, তা জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়। অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জানিয়েছেন, স্বল্পকিছু স্যাম্পেলের ভিত্তিতে উক্ত গবেষণাটি করা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে জনস্বার্থ রক্ষার্থে বরং আরও বেশি নমুনা নিয়ে আরও কয়েকবার পরীক্ষণ পরিচালনা করতে তাঁকে এবং অন্যান্য গবেষকদের সহায়তা করা উচিত। গবেষণায় পূর্বপ্রাপ্ত ফল যদি ভুল প্রমাণিত হয় সেটাও আমরা জানতে চাই।
আর ঠিক হলে বরঞ্চ নিরাপদ দুধ নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
সঠিক উত্তর তো আরও গবেষণার মাধ্যমেই মিলবে।
গবেষণা থামিয়ে নয়। হুমকি-ধামকি দিয়ে তো নয়ই।
আপনার মতামত লিখুন :