আমাদের দেশে মিথ্যা দিয়ে মামলা শুরু হয় এবং সত্য মামলা প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। ২১ জুন রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ‘নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার নারী নিপীড়ন কমিয়ে আনতে পারে’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর আলি খান এই মন্তব্য করেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আকবর আলি খান বলেন, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে, বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অভিযোগ দায়ের থেকে চূড়ান্ত বিচার... প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমূল পরিবর্তন করতে হবে।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে নারী নির্যাতন কমছে না বলে মনে করে আকবর আলি খান বলেন, সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক কাঠামো না থাকা ও সুশাসনের অভাবও এর জন্য দায়ী। বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বর্তমানে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা যদি একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই তাহলে নারী নিপীড়নের হার কমিয়ে আনতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আরো বলেন, নুসরাতের হত্যাকা- বাংলাদেশের কালো ইতিহাসের একটি। এই হত্যাকা-ের বিচার বাংলাদেশের সব লোক চায়। নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার হয়তো নারী নিপীড়ন কিছুটা কমিয়ে আনলেও উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনতে পারবে না। এই একটি মামলায় সুবিচার করে কঠিন শাস্তি দিলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না। আকবর আলি খান জানান, নারী নির্যাতনের প্রতি চারটি মামলার তিনটিতেই আসামি ছাড়া পেয়ে যায়। আর যে একটিতে সাজা হয় তাও নিম্ন আদালতের রায়ে, উচ্চ আদালতে তাও কমে যায়। এছাড়াও নিজেদের কার্যকারিতা প্রমাণের জন্য পুলিশ অনেক মামলা নেয় না। সূত্র : ক্লোজ উই ডটকম