শিরোনাম
◈ মর‌ক্কোর স‌ঙ্গে প্রী‌তি ম্যাচ খেল‌তে চায় বাংলাদেশ, ক্রীড়া উপদেষ্টার প্রস্তাব ◈ অ‌ক্টোব‌রে বিপিএলের ড্রাফট, নতুন করে চার ভেন্যুর অডিট হবে  ◈ ঢাকার বিদেশ মন্ত্রণালয় কার্যত অভিভাবক শূন্য! ◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৬:২১ সকাল
আপডেট : ২৭ জুন, ২০১৯, ০৬:২১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভিক্ষুকের টাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছেন সবুজ

ডেস্ক রিপোর্ট : পঞ্চম ধামে কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত এসএম শহিদুল্লাহ সবুজ বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হয়েছেন। এলাকায় তার নামে কোনো জমিজমা, ঘর-বাড়ি কিছুই নেই।

বিভিন্ন শ্রেণি পেশার স্থানীয় ভোটারসহ দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীরা অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে নির্বাচনী খরচ চালিয়েছেন। এমনকি ভিক্ষুকরা প্রতিদিন ভিক্ষা করে যা আনতো তাও তুলে দিতেন শহিদুল্লাহ সবুজের হাতে।

এর আগে তিনি বিএনপি ও আওয়াম লীগ প্রার্থীদের হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেবার নির্বাচিত হয়ে সামান্য জায়গা-জমি যা ছিল তা বিক্রি করে মানুষের সেবায় খরচ করেছেন।

এখন তিনি সহায় সম্বলহীন। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন সিরাজগঞ্জ শহরের হোসেনপুর বাগানবাড়ি মহল্লায়। আদি বাড়ি কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের বড়ধুল গ্রামে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে কামারখন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

তারা জানান, সহায় সম্বল বলতে শহিদুল্লাহ সবুজের কিছুই নেই। এলাকায় বাপ-দাদার কিছু জমিজমা ছিল। জনসেবা করতে গিয়ে সেগুলোও বিক্রি করে ফেলেছেন। দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কিন্তু কোনোবারই তার টাকা ছিল না। এলাকার লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা বা চাল তুলে তার নির্বাচনী খরচ চালিয়েছেন।

বড়ধুল গ্রামের সাবেক মেম্বর ইসমাইল হোসেন (৭০) জানান, তার তো ভিটে বাড়ি কিছুই নেই। তিনি সিরাজগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকেন। ঠিকমতো বাড়ি ভাড়াও দিতে পারেন না।

কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি জনগণের টাকায় চলেন। নির্দিষ্ট কোনো ইনকাম নেই। বাড়িওয়ালা জানে তার কাছে বাড়ি ভাড়া দেয়ার মত তেমন সামর্থ নেই। কিন্তু সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিক হওয়ায় সবাই তাকে ছাড় দিয়ে থাকেন।

একই গ্রামের আবদুল আউয়াল জানান, শহিদুল্লাহ সবুজ লোভ লালসার উর্ধ্বে। এর আগে তিনি ৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। তারপরও কোনো বাড়িঘর করতে পারেননি। তার বাড়িই ছিল উপজেলা অফিস। সেই জন্যই দলমত নির্বিশেষে উপজেলার সব জনগণ তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল্লাহ সবুজকে বলেন, বাড়ি দিয়ে কী হবে। আমাকে খোঁজার জন্য জনগণকে বাড়িতে যেতে হয় না। আমিই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেই।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিসে কোনো পর্দা থাকবে না। আমি ভিক্ষুকের দেয়া ৭২ টাকা আর ৫ কেজি চাউল দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নেমেছিলাম। এছাড়া আমার এলাকার মানুষসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা প্রচুর সহযোগিতা করেছেন। আমি শুধু ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি, টাকার চিন্তা করেছে জনগণ। এটা নিয়ে আমাকে কখনো ভাবতে হয়নি। জনগণের ভালোবাস ছাড়া আমার অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়