আবুল বাশার নূরু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বিমসটেককে আরো কার্যকর করতে দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন।
রাজধানীতে বিমসটেকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সদস্য দেশগুলোর দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও উদ্ভাবনমূলক পদক্ষেপ আগামী দিনগুলোতে বিমসটেককে আরো কার্যকর করে তুলবে।’
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (বিআইএমএসটিইসি) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশের আন্তর্জাতিক সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। এই দেশগুলো বঙ্গোপসাগরের ওপর নির্ভরশীল।
ঢাকায় বিমসটেকের গুলশানস্থ সচিবালয়ে মঙ্গলবার রাতে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা অংশ নেন।
মোমেন বলেন, ‘শুরু থেকেই বিমসটেককে কার্যকর করতে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী ছিল। এই অঞ্চলের মানুষের দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিমসটেকের সঙ্গে কার্যকরভাবে সমন্বয় সাধন করা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান পররাষ্ট্রনীতি। ঢাকায় বিমসটেকের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এই নীতিরই বহির্প্রকাশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনটি নীতির অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিদ্যমান বিমসটেককে পুনর্গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো হলো- ‘টেকসই উন্নয়ন’, ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা’ এবং ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ’।
প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো বিমসটেককে গতিশীল করে তুলবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সংগঠনটি এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
মোমেন আরো বলেন, বিমসটেকে দৃশ্যমান সুফল পেতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, যোগযোগ, শক্তি, নিরাপত্তা, কৃষি, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগকে বেশি প্রাধান্য দেয়া জরুরি। এই অঞ্চলের সকল দেশ কার্যকরভাবে ভূমিকা রাখলেই কেবল একটি টেকসই ও শান্তিপূর্ণ বঙ্গোপসাগর অঞ্চল নিশ্চিত করা সম্ভব।
সম্পাদনা: অশোকেশ রায়