নিউজ ডেস্ক : অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ইরানের রফতানি আয়ের প্রধান উৎস। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে দেশটি থেকে জ্বালানি পণ্যটির রফতানি রেকর্ড পরিমাণ কমে গেছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে ইরান থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক রফতানি তিন লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। বণিক বার্তা।
রফতানি আয় কমিয়ে ইরানের অর্থনীতিকে চাপে ফেলতে গত বছরের নভেম্বরে তেহরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও আটটি দেশ ইরান থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে বিশেষ ছাড় পেয়েছিল। এ তালিকায় চীন, জাপান, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইতালি ছিল। এসব দেশই ইরানি জ্বালানি তেলের প্রধান ক্রেতা।
তবে বিরোধের জের ধরে গত মে মাসের শুরুতে আটটি দেশের জন্য বিশেষ এ ছাড় তুলে নেন ট্রাম্প। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছাড় উঠে যাওয়ার আগে গত এপ্রিলে ইরান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছিল। ছাড় উঠে যাওয়ার পর গত মে মাসে দেশটি থেকে প্রতিদিন চার-পাঁচ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি হয়েছে। আর চলতি মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে দেশটি থেকে জ্বালানি পণ্যটির দৈনিক রফতানি তিন লাখ ব্যারেলে নেমে এসেছে।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে ইরান থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানি কমার খবর মিললেও এ সময় তেহরান থেকে কোন কোন দেশ জ্বালানি পণ্যটি কিনেছে, সে তথ্য প্রকাশ করেনি রয়টার্স। অন্যদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পর থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের রফতানি-বিষয়ক তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত রয়েছে ইরান সরকার।
তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব যে ভালোমতোই পড়তে শুরু করেছে, সে ব্যাপারে অনেক জ্বালানি বিশ্লেষকই মতামত দিয়েছেন। এ বিষয়ে রয়টার্সের পণ্যবাজার-বিষয়ক বিশ্লেষক ওয়াং তাও বলেন, ইরানের ওপর নতুন করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের উদ্যোগ ফল দিতে শুরু করেছে। দেশটির প্রধান রফতানি পণ্যের চালান কয়েক গুণ কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই ইরানের অর্থনীতি বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়তে পারে। আর এ উদ্দেশ্যেই তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
এএস/কেএ/টিই