নুর নাহার : বাজেটে আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করায় স্মার্টফোনের দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন গ্রাহকরা। ইনডিপেনডেন্ট টিভি- ১১.০০
তবে দেশীয় উৎপাদকরা বলছেন, শুল্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় কমবে আমদানি নির্ভরতা। পাশাপাশি বাড়বে স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন।
দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারির সংখ্যা ১৩ কোটির বেশি। যাদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা তিন কোটিরও বেশি। তবে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের অর্ধেকেরই বেশি আসে দেশের বাইরে থেকে।
বাজাটে স্মার্টফোনের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দাম বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা করছেন গ্রাহক ও বিক্রেতারা। আগে ভাগে ফোন সেট কিনতে অনেকে ভিড় করছেন দোকানে।
ক্রেতারা বলেন, স্মার্ট ফোনের দাম বেড়ে যেতে পারে তাই আগে থেকেই নেয়া যায় কিনা দেখছি। আরেকজন বলেন, শুনলাম ১ তারিখ থেকে স্মার্ট ফোনের দাম বেড়ে যাবে তাই আগেই কিনলাম।
বিক্রেতারা বলেন, দাম বাড়লে মার্কেটে প্রভাব পড়বেই। কেনা বেচা কম হবে। লোকজন চিন্তা করছে কি হয় না হয়।
তবে মোবাইল ফোন আমদানিকারকেরা বলছেন, আমদানি শুল্ক বাড়ায় দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো উৎসাহ পাবে। স্থানীয় পর্যায়ে কমবে মোবাইল উৎপাদন খরচ।
মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, আমরা চেষ্টা করবো যেনো দুষ্ট চক্র এখানে ঢুকতে না পারে। কেউ এর দাম বাড়ায়নি। আর সরকার যেহেতু স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো কর আরোপ করেনি সুতরাং দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, প্রতি বছর দেশে স্মার্টফোন আমদানি হয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। আর বর্তমানে দেশে ৫টি মোবাইল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বছরে ৬৬ লাখ হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে। কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :