রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা : গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সংঘবদ্ধ দাদন ব্যবসায়ী চক্রের খপ্পরে পড়ে এবং নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়ে আর্থিকভাবে সর্বশান্ত ও লাঞ্ছিত হয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অসহায় মানুষজন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও র্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাদন ব্যবসায়ী চক্রের অবৈধ কারবার বন্ধে ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
সোমবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দাদন ব্যবসায়ীদের হাতে নির্যাতিত ও নিপীড়িত আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ভূক্তভোগীদের পক্ষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের শিক্ষক সফির উদ্দিন ও তার সহযোগী একই উপজেলার শিক্ষক মো. সাহারুল ইসলাম ও ছায়ফুল ইসলাম এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, গোবিন্দগঞ্জের দাদন ব্যবসায়ী চক্রের মো. আব্দুল হান্নান সরদার, মাদ্রাসা শিক্ষক আসাদুজ্জামান, স্টিল ফার্নিচার ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার দেব, শাহীন মিয়া, মিলন মিয়া, আব্দুল মান্নান শেখ, রেজাউল শেখ, খাজা মিয়া, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, শরিফুল ইসলাম, মোসলেম উদ্দিন, ইব্রাহিম শেখ, জাহাঙ্গীর শেখ, মো. সৌরভ মিয়া, মঞ্জুরুল হক এবং শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়াহাটে পউস প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তা বুলু মিয়া দীর্ঘদিন যাবত অধিক সুদে এবং চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ নিয়ে দাপটের সাথে দাদন ব্যবসা চালিয়ে এতদঞ্চলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
অত্যাধিক প্রয়োজনে নিরূপায় হয়ে উক্ত সফির উদ্দিন, সাহারুল, ছায়ফুলসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা দাদন ব্যবসায়ির কাছে দাদনের টাকা গ্রহণ করে এবং নিয়মিত সুদ ও দণ্ডসুদ প্রদান করার পরও গত ২৫মে গৃহীত সমুদয় টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু এতদসত্ত্বেও তাদের কাছে নেয়া চুক্তিপত্র ফেরত চাইলে দাদন ব্যবসায়ীরা তা ফেরত দিচ্ছে না। উপরন্ত তাদের কাছ থেকে ওই চুক্তিপত্র ও স্বাক্ষরিত চেকের পাতা জিম্মি করে রেখে তাদের কাছে আরও অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। উক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটি দাদন গ্রহীতাদের অপহরণ, গুম, মারপিট করাসহ নানাধরনের হুমকি প্রদান করে আসছে। ফলে এ সমস্ত অসহায় মানুষ দাদন ব্যবসায়ীদের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, কর্মস্থলেও যেতে পারচে না, ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
এমনকি দাদন ব্যবসায়ীদের ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে না পারায় সাহারুল ইসলামকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
সম্পাদনা : মিঠুন রাকসাম