রাশিদ রিয়াজ : তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আমাসিয়া প্রদেশে অনেক চেষ্টার পর ফের ওই বিলুপ্ত প্রজাতির টিউলিপটি ফোটানো সম্ভব হয়েছে। এজন্যে একটি প্রকল্প পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়। তুরস্কে টিউলিপটির স্থানীয় নাম ‘স্পেরেনজার্স’। এ প্রজাতির টিউলিপটি তুরস্কে এর আগে ১৮৯২ সালে প্রথম দেখা যায়। জার্মানির একজন মালী মুলেডর্ফ আমাসিয়ায় এধরনের টিউলিপ ফোটান। তিনি ইউরোপে বাগান করার জন্যে সুপরিচিত ছিলেন। ডেইলি সাবাহ
এরপর সর্বশেষ এ প্রজাতির টিউলিপ তুরস্কে দেখা গেছে ১৮৯৬ সালে। তার মানে বিশে^ এ প্রজাতির দেখা যাওয়ার পর চার বছরেই ফুলটি সবার অলক্ষ্যে চলে যায়। এর কারণ হচ্ছে সবাই ফুলটির সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে ব্যাপকভাবে তা সংগ্রহ শুরু করে। প্রতিবছর তুরস্কের ভেতরে বা দেশটির বাইরেও গবেষকরা টিউলিপের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতি ফিরিয়ে আনার জন্যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তুরস্কের বোটানিক্যাল গার্ডেনে এধরনের একটি টিউলিপ অন্তত শ’খানেক ফোটানো সম্ভব হয়েছে। এজন্য ২০১৫ সালে ইস্তাম্বুলের নেজাহাট গোকিজিট বোটানিক্যাল গার্ডেন ‘দি লস্ট টিউলিপ রিটার্নস হোম’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করে।
আপনার মতামত লিখুন :