রাশিদ রিয়াজ : ইয়েমেনে বিমান বাহিনীর মুখপাত্র আব্দুল্লাহ জাফারি বলেছেন, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি পাল্টে দিয়েছে এবং আগ্রাসীরা খুব শিগগিরই হামলা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। তিনি শনিবার মিরাতুল জাযিরা ওয়েব সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, "আগ্রাসীদের তিনশ'টি অবস্থানে হামলার যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে সে অনুযায়ী হামলা হচ্ছে। রমজান মাসের নয় তারিখে সৌদি আরবের ইস্ট-ওয়েস্ট তেল পাইপলাইনে হামলা হয়েছে। এরপর নাজরান বিমানবন্দরে হামলা করা হয়েছে। বিমানবন্দরতে জঙ্গিবিমানের হ্যাঙ্কার, অস্ত্র গুদাম, রাডার ব্যবস্থা ও কন্ট্রোল রুমে আঘাত হানা হয়েছে। একইভাবে আমরা জিযান ও আবহা বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছি। আসির প্রদেশের কিং খালিদ বিমান ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে। কিং খালিদ ঘাঁটিটি সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই ঘাঁটিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছে।"
তিনি বলেন, আগামীতেও হামলা অব্যাহত থাকবে এবং শত্রুদের বিমানবন্দরগুলোতে আঘাত হানা হবে। বিমান বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, যতদিন শত্রুদের অবরোধ ও হামলা অব্যাহত থাকবে ততদিন পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের আঘাত চলবে। আব্দুল্লাহ জাফারি বলেন, ইয়েমেনিদের ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ এবং রিয়াদ থেকে আরও দূরবর্তী স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে আরও নতুন ও উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রয়েছে যেগুলো সুয়েজ খাল পর্যন্ত পৌঁছাবে। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ইহুদিবাদী ইসরাইলেও আঘাত হানতে পারবে।
তিনি বলেন, রেড সি দিয়ে প্রতিদিন ৪৭ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়। নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করলে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচলের এই রুট আর নিরাপদ থাকবে না। ইয়েমেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র বলেন, এটি আমাদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। আন্তর্জাতিক সমাজের উচিত আমাদের এই বার্তা ভালোভাবে উপলব্ধি করা।
উল্লেখ, ইয়েমেনে পছন্দসই স্বৈরাচারি সরকার রাখতে সৌদি আরব যে আগ্রাসন শুরু করে তার ফলে দেশে ১২ সহস্রাধিক মানুষ মারা গেছে। দেশটিতে খাদ্য সংকট চলছে। লাখ লাখ শিশু রোগে শোকে মৃতপ্রায়। অথচ এধরনের পরিস্থিতিতে কোনো আলোচনায় না যেয়ে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো ইয়েমেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসনে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ পশ্চিমা দেশগুলো। ওআইসি এ ব্যাপারে কোনো গ্রহনযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
আপনার মতামত লিখুন :