নূর মাজিদ : দুর্নীতি এবং অবাধ লুটপাটের মাধ্যমে যেসব দুষ্কৃতিকারী সরকারি কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টির পেছনে ভূমিকা রেখেছেন, তাদের চোর বলে উলে¬খ করেছেন ইমরান খান। একইসঙ্গে, তিনি অর্থনীতিক সংকটের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর এসব দুষ্কৃতীকারী প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন। সূত্র : দ্য ডন।
সরকারি ব্যয়ের কৃচ্ছতা সাধনের বাজেট এবং তা ঘিরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র বিরোধিতার পর গত মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ইমরান খান এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। যা দেশটির সকল টিভি চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করে। এর আগে অবশ্য, দেশটির দুর্নীতি দমন বোর্ড বা ন্যাব পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সাংসদ হামজা শেহবাজকে গ্রেফতার করে। একইদিন, লন্ডন পুলিশ মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের নেতা আলতাফ হোসেনকে ন্যাবের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করেছে লন্ডন পুলিশ। এর আগে সোমবার, সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং পিপিপির শীর্ষ নেতা আসিফ আলী জারদারিকে গ্রেফতার করে ন্যাব।
এরপরেই মঙ্গলবার রাতের ভাষণে ইমরান বলেন, এখন আমাদের মূল লক্ষ্য অর্থনীতিকে একটি স্থিতিশীল অবস্থানে নিয়ে আসা। এটা করার পরেই যারা আজকের এই দূরাবস্থা তৈরি করেছেন তাদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
এসময়য় তিনি আরো দাবী করেন, পাকিস্তানের আর্থিক সংকট সা¤প্রতিক অতীতের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। এখনই আমরা দুর্নীতিবাজদের ধরার পেছনে মনোযোগ দেয়ার কাজটি শুরু করব। ইতোমধ্যেই, সঠিক অনুসন্ধানের জন্য আমি এখনই একটি উচ্চ-ক্ষমতা স¤পন্ন তদন্ত কমিশন গঠনের কাজ শুরু করেছি। কিভাবে মাত্র দশ বছরে একটি দেশের সরকারি দেনার পরিমাণ ২৪ লাখ কোটি রূপি হলো, সেটাই অনুসন্ধান করবে এই কমিশন।
ইমরান জানান, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স, ফেডারেল বোর্ড অব রেভ্যিনিউ এবং সিক্যিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মেধাবি ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠিত হবে।