হ্যাপি আক্তার : আগামী বাজেটে আর্থিক খাতের সংস্কারের বিষয়টিকে সবার আগে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। তা না হলে অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি হবে। এছাড়া টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত জরুরী। সেই সঙ্গে রাজস্ব, ব্যাংক ও পুঁজি বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আগামী বাজেটে সামগ্রীক অর্থনীতির জন্য স্বাস্থ্যকর নীতি কাঠামোর প্রতিফলন দেখতে চান অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ডিবিসি নিউজ, ৯:০০।
দেশের প্রথম বাজেট ছিলো ৭’শ ৮৬ কোটি টাকা। ৪৭তম দিতে গিয়ে দেখা গেল তা দেশের বাজেট বেড়েছে ৫’শ ৯০ গুণ। তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে প্রথম বারের মতো ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে যাচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট।
এ বিষয় অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের আয়ের অনুপাতে যে টুকু ছিলো তাই আছে। আগাতেই পারিনি। দেশে আগে যা ছিলো তাই রয়েছে এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সেখানে বড় বাধাটা হলো রাজস্ব আদায়ের ১০ শতাংশ আদায় রয়ে গেছে বহু বছর ধরে। যার ফলে উন্নয়ন কর্মসূচিতে দেশের সম্পদ সরবরাহ অত্যন্ত কম। কর দিচ্ছে তারা যাদের সেই অর্থে আয় অনেক কম।
তিনি আরো বলেন, বাজেটের এই মূহুর্তে মূল সমস্যা হলো দেশিয় সম্পদ আহরণ অত্যন্ত নিচু পর্যায়ে রয়েছে। যে ঘাটতিটা রয়েছে তা পূরণ করার জন্য আমরা উচ্চ সুদে ধার করে যাচ্ছি। যা আমাদের দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই হবে না।
যেহেতু অভ্যন্তরিন উৎস থেকে সম্পদ তৈরি হচ্ছে না, ফলে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় পৃথিবীর ভেতর এখন সর্বনিম্ন, বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচায।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীন সম্পদের পাশাপাশি সাম্প্রতিককালে আমাদের বৈদেশিক লেনদেনের ওপরে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন