ইয়ামীর আহমেদ: ডিজিটালপ্রযুক্তিরব্যবহারএরমাধ্যমেকোনশিল্প-কারখানারউৎপাদনওঅপারেশনপরিচালনাকরা।যেটিসকলেরকাছে"ইন্ডাস্ট্রিয়াল ৪.0" হিসাবেও পরিচিত।ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট কে বলা যেতে পারে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর একটি উদাহরণ অর্থাৎ যেখানে রোবট মানুষ এর কাজগুলো করে দিবে। তাহলে বলা যেতে পারে এটির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ দুটি দিকই রয়েছে।
শিল্প বিপ্লব এর প্রাথমিক ধারণা ও প্রেক্ষাপটঃ
সময়ের সাথে সাথে শিল্পায়নের যে আধুনিক পরিবর্তন ঘটে অর্থাৎ শিল্পের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যে পরিবর্তন হয়েছে সেটি নির্ভর করেছে প্রযুক্তির আগ্রগতির উপর। প্রথমশিল্প বিপ্লবহয়েছিলবাষ্প ইঞ্জিনের এর ব্যবহার ফলে দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবহয়েছিলবিদ্যুতায়ন এর ব্যাবহারের ফলে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবহয়েছিলইলেকট্রনিক্স এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যাবহারের ফলে বর্তমান ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এর পরিবর্তন, মুলত তৃতীয় শিল্প বিপ্লব এর উপর নির্ভর করে অগ্রগতি ও পরিবর্তন হচ্ছে সেটি হল উন্নত প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অফ থিংস, সাইবার-সিস্টেম, স্মার্ট সিস্টেম, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স এবং অটোমেশন ইত্যাদি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর ধারনাটি প্রথম এপ্রিল ২০১৩ তে জার্মানিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছিল।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবঃ
মানুষ এর চেয়ে রোবট এর কর্মসংস্থান দিন দিন বেড়ে চলছে! গাড়িরড্রাইভিংথেকেশুরুকরেচাষাবাদপর্যন্তএখনরোবটকরছে।ভবিষ্যতে আমরা প্রায় সবক্ষেত্রে রোবট এর বিচরণ দেখতে পাব।আপনি অফিসে বসে দেখবেন রোবট আপনার বাচ্চাকে স্কুলএনিয়ে যাচ্ছে এবং তার সাথে খেলাধুলা করছে।বর্তমান বিশ্বের অনেক কর্মসংস্থান অটোমেশনের ঝুঁকিতে রয়েছে বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রোবট।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মুল চালিকা শক্তিঃ
বিগ ডেটা এ্যানালাইট্রিক, স্বয়ংক্রিয় রোবট, সিমুলেশন, হরাইজনটাল এবং ভারটিকাল সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট অফ থিংস, ক্লাউড কম্পিউটিং, সাইবার সিকিউরিটি, অ্যাডিটিভ ম্যানুফাকচ্যারিং এবং অগমেন্টেড রিয়েলিটি
লেখকঃ মোঃ মিজানুররহমান, আইসিটিকন্সালট্যান্ট, সহকারীঅধ্যাপক, সাউথইস্টইউনিভার্সিটি