হ্যাপি আক্তার : সংস্কৃতজন কামাল লোহানী ফুসফুসের ইনফেকশনজনিত কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কামাল লোহানীর কন্যা বন্যা লোহানী এ সংবাদ নিশ্চিত করেছেন। ডিবিসি নিউজ।
বন্যা জানান জানান, বাবা দু’সপ্তাহ ধরে ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসা চলছিলো। অবস্থার অবনতি হলে রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। বৃস্পতিবার কামাল লোহানীকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।
কামাল লোহানী বর্তমানে বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক সজল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বক্ষব্যাধি বিভাগ প্রধান অধাপক এ কে এম মোশাররফ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
৮৫ বছর বয়সী কামাল লোহানী দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্র, কিডনি, ফুসফুসের রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করছেন বলেও জানান তার মেয়ে।
প্রসঙ্গত, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালীর প্রতিটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রণী সৈনিক কামাল লোহানী শুধু ভাষা সংগ্রামীই নন তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন শব্দসৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও বার্তা বিভাগ প্রধান ছিলেন।
পঞ্চাশের দশকে সাংবাদিকতায় যোগ দিয়ে তিনি মিল্লাত, আজাদ, পূর্বদেশ, জনপদ, বঙ্গবার্তা, দৈনিক বার্তায় বিভিন্ন পদে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। সা¤প্রতিক সময়েও তিনি দৈনিক প্রভাত ও চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বদেশে সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে স্বাধীনতা আগে থেকেই তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিটিউটের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন কামাল লোহানী।
বাংলা ও বাঙালীর সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি বাফা, ছায়ানট, ক্রান্তি, গণশিল্পী সংস্থা, উদীচী, নব নাট্য সংঘকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কামাল লোহানী ১৯৯১-৯২ সালে প্রথম দফা এবং ২০০৯-২০১১ সালে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলা একাডেমী ফেলো কামাল লোহানী ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’ এ ভ‚ষিত হন। সম্পাদনা : রেজাউল আহ্সান
আপনার মতামত লিখুন :