নিউজ ডেস্ক : কপি পেস্ট সাংবাদিকতার আরো একটি অনন্য দৃষ্টান্ত, 'জাপান-বাংলাদেশের ২৫০ মিলিয়ন জলারের চুক্তি সই।' এদেশের বেশির ভাগ সাংবাদিক অন্য সব কাজ করেন ফুলটাইম, শুধু নিজের যে কাজ সেটি অর্থাৎ সাংবাদিকতাটা করেন পার্ট টাইম।
জাপানে বসবাসরত Nadim Mahmud ভাই লিখেছেন, 'আড়াইশ নয় ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে জাপানে সফর করছেন। তিনি এশিয়ার সরকার প্রধানদের সাথে আজ ‘দি ফিউচার অব এশিয়া’ প্রবন্ধও উপস্থাপন করেছেন। তার এই শক্তিশালী নেতৃত্বকে আরো বেশি বেগবান করতে জাপান ‘পরীক্ষিত বন্ধু’ হিসেবে আরও একবার বড় পরিচয় দিল।
বুধবার তিনি প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক শেষে বেশ কয়েকটি সহায়তা চুক্তি সই করেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে ‘জাপানের সাথে আড়াইশো কোটি মার্কিন ডলার চুক্তি সই হয়েছে। আমিও সেটাই ধরে নিয়েছিলাম।
কিন্তু সকালে জাপানের পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে দেখতে পেলাম, এই চুক্তির পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার। মাতারবাড়ি বন্দর, আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) প্রকল্পে ১৩২. ৭ বিলিয়ন জাপানি মূদ্রার সমমূল্যে (১.২ বিলিয়ন ডলার) অর্থ সহায়তা দেবে।
একই খবর দিয়েছে জাপানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনএইচকে ও জাপান টাইমসও।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কেন এই ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্যের সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ১২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তাকে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা কেন আড়াইশ কোটি ডলার বানিয়ে ছাড়লো কেউ কি বলতে পারবেন? এই অতি উৎসাহী সংবাদ আমাদেরকে জাপানিজদের কাছে কিভাবে পরিচয় করে দিচ্ছে? বাকী ১৩০ কোটি ডলার অতিরিক্ত ঋণ বাংলাদেশকে কারা দেবে?'