আমিন মুনশি : যারা হারাম সম্পদের মালিক, যারা হারাম সম্পদ আয় করেন, সেটা ঘুষ, সুদ, দুর্নীতি, লুট-যেভাবেই হোক না কেন- তা দিয়ে জাকাত দিলে সেটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, আল্লাহ তাআলা নিজে পবিত্র এবং পবিত্রতাকে তিনি পছন্দ করেন। পক্ষান্তরে হারাম সম্পদ অপবিত্র; তাই অপবিত্র সম্পদ দিয়ে জাকাত দিলে তা কবুল হবে না। হারাম সম্পদের জাকাতে সওয়াবের আশা করাটাই বৃথা।
এছাড়া দরিদ্র শ্রেণী জাকাত নেবেন ঠিক আছে। তবে এই নিয়ত রাখবেন না যে, আজীবন জাকাত নেবেন। বরং প্রাপ্ত জাকাত কাজে লাগিয়ে তারা সাবলম্বী হয়ে আগামীতে যেন নিজেরা জাকাত দিতে পারেন সেই লক্ষ্য ও চেষ্টা থাকতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ড. সৈয়দ মুহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম’। দাতার হাত গ্রহীতার হাতের চেয়ে উত্তম। তাই পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেয়া ঠিক নয়। একই সঙ্গে সবসময় জাকাত নিতে থাকা- এটা কোনো প্রশংসার বিষয় নয়। প্রত্যেককে সাবলম্বী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে। নিজের শক্তি, সামর্থ্য, বুদ্ধি, জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞা ও শ্রম দিয়ে যেন সাবলম্বী হতে পারে- এই চেষ্টা থাকতে হবে। ইসলাম সবসময় সাবলম্বী হতে, উপার্জন করতে উৎসাহিত করেছে। একান্ত নিরুপায় অবস্থায় সাহায্য গ্রহণ করার সুযোগ রেখেছে।