শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ০৩:২২ রাত
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ০৩:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সকল নারীর জৈবিক অধিকার নিশ্চিতকরণে এখনও বহুপথ পাড়ি দিতে হবে

নূর মাজিদ : বিশ্বজুড়ে নারীরা এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও একান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পুরুষের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। অনেক সময় নিজেদের জৈবিক চাহিদা এবং সন্তানধারনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও নেই, বিপুল সংখ্যক নারীর। জীবনসঙ্গী বেঁছে নেয়ার ক্ষেত্রেও পারিপার্শ্বিক চাপের মুখে তারা হার স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত জাতিসংঘের ২০১৯ সালের বিশ্ব জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে নারীর এই অবস্থা তুলে ধরা হয়। সূত্র : রিলিফ ওয়েব।

চলতি বছরের প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিলো, ‘আনফিনিশড বিজনেস- দ্য পারস্যুইট অব রাইটস অ্যান্ড চয়েজস ফর অল’ অর্থাৎ মূল প্রতিপাদ্যে সকল লিঙ্গের মানুষের প্রজনন অধিকারে সমতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। প্রতিবেদনটি জানায়, যেখানে নারীরা নিজেদের শরীর নিয়েই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখেন না, সেখানে অন্যান্য অধিকার নিশ্চিত করা আরো দূরের বিষয়। নারীর জৈবিক ক্ষমতায়ন করতে হলে বিশ্বের সকল দেশের সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাকে এখনও বহুদুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে।

অবশ্য এবারের প্রতিবেদনে তিনটি নতুন আঙ্গিক যুক্ত হয়েছে। যা এবারই প্রথম। এগুলো হলো, নারীর সঙ্গী বেঁছে নেয়ার ক্ষমতা, গর্ভ নিরোধ এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নিশ্চয়তা। এই তিনটি বিষয়কে নারীর জৈবিক ক্ষমতায়নের পরিমাপক হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যার আওতায় বিশ্বের ৫১টি দেশের নারীর অবস্থান বিশ্লেষণ করা হয়। সেখানে উঠে আসে, এই সকল দেশের ৫৭ শতাংশ নারী নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী বিয়ে বা শারীরিক স¤পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম হচ্ছেন। এছাড়াও, সূচকে আলোচিত তিনটি বিষয়েও তারা যথেষ্ট স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন। তবে বাকি ৪৩ শতাংশ নারী এখনও এই স্বাধীনতা ভোগ করতে পারছেন না। যেটা সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় একটি বড় মাপের বাঁধা বলে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের প্রতিবেদন।

দুটি দেশে নারীরা জৈবিক ইস্যুতে সবচাইতে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছেন। এর একটি হলো ফিলিপাইন এবং দ্বিতীয় হলো ইউক্রেন। এ দুটি দেশে ৮১ শতাংশ নারী নিজ শরীরের ব্যাপারে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অন্যদিকে সবচাইতে নেতিবাচক অবস্থায় রয়েছেন, উত্তর আফ্রিকার মালি, নাইজার এবং সেনেগালের নারীরা। এই সকল দেশে মাত্র ৭ শতাংশ নারী জৈবিক সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারছেন।

এই বিষয়ে ইউএনএফপিএ নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানিম বলেন, ‘বিশ্বের সকল নারীর নিজ শরীরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এতে তারা গর্ভধারণ বা গর্ভপাতের মতো বিষয়গুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। জড়াতে পারবেন নিজের পছন্দের সম্পর্কে। এটা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সামনে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়