নূর মাজিদ : ব্রিটিশ ইস্পাত শিল্প এখন এক কঠিন সময় পার করছে। তবে এর ভবিষ্যৎ আরো সংকটের মুখে, বিশেষ করে ব্রেক্সিটের পরে ঠিক কেমন অবস্থা দাঁড়াবে তা নিশ্চিত নয়। এই অবস্থায় ব্রেক্সিট যেন না হয় এমনটাই চান ইস্পাত কারখানা মালিকেরা। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
ইস্পাত শিল্পের উদ্যোক্তাদের এমন অবস্থানের কারণ খুব স্পষ্ট । চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে যেভাবে যুক্তরাজ্য এগিয়ে চলেছে সেটাও এই উদ্যোগ কমানোর কোন পথ দেখাচ্ছে না। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা ঘিরেই এই শঙ্কা। বিশেষ করে, ই¯পাত রপ্তানিতে শুল্ক বাঁধার মুখে পড়তে পারে যুক্তরাজ্য। এরসঙ্গে আবার ইউরোপের প্রভাবাধীন দেশগুলোতে রপ্তানির বিষয়টি স¤পৃক্ত।
ইস্পাত ব্যবসায়ীদের চাপের মুখে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য বিদেশ থেকে ইস্পাত আমদানি সীমিত করতে রক্ষণশীল পদক্ষেপ নিয়েছে। ব্রেক্সিটের পরেও যুক্তরাজ্যের ইস্পাত আমদানি এই নীতিমালার আওতায় থাকবে, এমন প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এটা আবার নতুন বিপদের জন্ম দিয়েছে। ইইউ থেকে ইস্পাত আমদানিতে এই ধরনের বাঁধা থাকলে, ব্রেক্সিটের পর ইইউ পাল্টা ব্রিটিশ আমদানি নিরুৎসাহিত করার নীতি নিতে পারে।
আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই ইইউ এবং ব্রিটেনের বাণিজ্যিক সম্পর্কের রূপরেখা নিশ্চিত করতে হবে। এটা পরিকল্পনাবিদদের জন্য বাড়তি জটিলতা তৈরি করেছে। বিশেষ করে, গত তিন বছরে যে সকল সমস্যার সমাধান হয়নি সেটা মাত্র পাঁচ মাসে কিভাবে সমাধান হবে, সেই প্রশ্ন রয়েই গেছে। আপাতদৃষ্টিতে, এটা পরিষ্কার ব্রেক্সিটের পর ব্রিটিশ ইস্পাত শিল্পকে বড় ধরনের ঝঞ্জা মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।