অনির্বাণ আরিফ : নূরুল হক নূরু কী রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো অপরাধ করেছে? আচ্ছা যদি করেও থাকে তবে সে বিচার কী ছাত্রলীগ করবে? আচ্ছা, ছাত্রলীগ কী রাষ্ট্র নাকি রাষ্ট্রের পরিচালক? এই প্রশ্নগুলো আপনার মাথায় আসলে আপনি বিএনপি কিংবা জামায়াত হয়ে যাবেন না। এই প্রশ্নগুলো আপনার মাথায় আসলে আপনি আওয়ামী বিদ্বেষীও হয়ে যাবেন না। বরং আপনি মানবিক বোধসম্পন্ন হলে এই প্রশ্নগুলো আপনার মাথায় না আসাই হবে আশঙ্কার কারণ।
আমাদের সংবিধান একটি গণতান্ত্রিক এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাবাদী সংবিধান। এটি কোনো ফ্যাসিবাদী, ধর্মবাদী কিংবা রাজতন্ত্রবাদী সংবিধান নয়। আমাদের সংবিধান আমাদেরকে যেমনিভাবে সভা, সমাবেশ করার স্বাধীনতা দিয়েছে তেমনিভাবে ধর্ম পালন বা না পালন করার ও স্বাভাবিক স্বাধীনতা দিয়েছে। আমাদের সংবিধান মতে আমরা প্রত্যেক নাগরিক স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবো। স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারবো। স্বাধীনভাবে সংগঠন করতে পারবো।
ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক - রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন। অথচ ইদানীং কালে ছাত্রলীগের আচরণ এবং কর্মক- শিবিরের মতো ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠছে। সবারই মনে থাকবে জামাতি যামানার (২০০১-০৫) সে সব বিভীষিকাময় কথা। যখন এদেশের ভার্সিটিগুলো ছিলো শিবিরের দখলে আর শিবিরের এক একজন শীর্ষ নেতা থাকতো এক একটি ভার্সিটির অঘোষিত ভিসি!
তখন তাদের মতো করে নিয়ম-নীতি না মানলে, তাদের মতো করে চিন্তা না করলে, তাদের মতো করে কথা না বললে, তাদের মতো করে প্যান্ট-পাজামা না পড়লে কারো হাতের রগ, কারো পায়ের রগ, কারো কব্জি, কারো গর্দান কেটে নিয়ে যেতো। আজ ছাত্রলীগ তাদের কথা না মানলে যে কারো মেরুদ- ভেঙে দিচ্ছে। ছাত্রলীগের ভেতর শিবিরের প্রেতাত্মা ভর করেনি তো! এমন ছাত্রলীগ কি আপনি চান? আমি চাই? এই বাংলাদেশ চায়? ফেসবুক থেকে