সুস্মিতা সিকদার : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন আগামী সপ্তাহে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শনে যাবেন বলে সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পশ্চিমা দেশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় এই ছোট্ট দ্বীপপুঞ্জে চীনের আধিপত্য বিস্তার রোধ করার চেষ্টা করছে। খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করতে দু’দেশ গভীর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কুটনৈতিক অবস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে আসছে। এ লক্ষ্যে দেশটি দ্বীপগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে যৌথ প্রশিক্ষণ ও সামরিক মহড়ার পদক্ষেপ নেয়।
সম্প্রতি সলোমন দ্বীপপুঞ্জ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে, চীন মনে করে, তাইওয়ান চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটি প্রদেশ। তাই বিভিন্ন দেশের সাথে তাইওয়ানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের কোন অধিকার নেই।
এদিকে, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তারে নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমা দেশগুলো। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওয়াশিংটন প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোকে চীনের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদান করতে সাহায্য করবে। এই ঘোষণার পর চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ, মার্কিন অবরোধ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সেনা মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।
মরিসন পুনরায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এটাই প্রথম বিদেশ সফর। কুটনৈতিক কারণে ক্যানবেরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজের আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট রয়েছে।