কেএম নাহিদ : ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শেষ হতে সময় লেগেছিল প্রায় আট বছর। চার লেনের নতুন মহাসড়কে যখন মোটামুটি গাড়ি চলতে শুরু করে - তখন দেখা দিল নতুন বিপত্তি। কারণ মেঘনা এবং গোমতী নদীর উপর সেতু দুটো ছিল অপ্রশস্ত, মাত্র দুই লেনের এবং সেগুলো সংস্কারেরও প্রয়োজন ছিলো। ফলে প্রায়ই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে আট থেকে ১০ঘণ্টা সময় লাগতো।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম শনিবার বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনায় যদি সমন্বিত চিন্তা না থাকে তখন এ ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে। ব্রিজকে সবসময় বলা হয় বটলনেক। এর সমাধান হচ্ছে, এই বটলনেক ছুটিয়ে দিতে হবে। এই কাজ আগে না করে চার- লেন চালু করার বিষয়টি পরিকল্পনার ঘাটতি।
তিনি বলেন, গত ১০বছরে যোগাযোগর ব্যবস্থায় বহু প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেসব প্রকল্প শেষ হলে নতুন আরেকটি সমস্যা সামনে হাজির হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করার পর দেখা গেছে যে নিচের রাস্তা কার্যত আর ব্যবহার উপযোগী থাকছে না । রাস্তা নির্মাণ কিংবা প্রশস্ত করা হলেও মানুষ পুরো রাস্তা ব্যবহার করতে পারছে না। মহাসড়কে রাস্তার ধারে হাট-বাজার কিংবা কিংবা বেপরোয়া গাড়ি পার্কিংসহ নানা কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার প্রশস্ততা কমে আসছে। যখন একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তখন এর ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হতে পারে সেটি অনেকক্ষেত্রেই চিন্তায় থাকে না।
তিনি বলেন, একটি প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে সেটির সহায়ক আরো কী করা যাতে পারে - এই দিকগুলো অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষিত থাকে। যখন একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, তখন এর ভবিষ্যৎ প্রভাব কী হতে পারে সেটি অনেকক্ষেত্রেই চিন্তায় থাকে না। একটি প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে সেটির সহায়ক আরো কী করা যাতে পারে - এই দিকগুলো ভাবা হয় না। সম্পাদনায়: সালেহ্ বিপ্লব ।