শিরোনাম
◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে মুসলিম বিদ্বেষ ঘটলে, বাংলাদেশের উগ্রধর্ম ভিত্তিক দলগুলো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইবে. বললেন তারেক শামসুর

কেএম নাহিদ : ভারতে ধর্ম ভিত্তিক হিন্দুত্ববাদি দলের উত্থান বাংলাদেশের ধর্ম ভিত্তিক দলগুলোর উপর নেতিবাচক প্রভাব প্রসঙ্গে শনিবার বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাকারে বলেছেন, রাজনীতিক বিশ্লেষক ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তারেক শামসুর রেহমান বলেন বিজিপি’র এ যে উত্থানের পেছেনে তাদের হিন্দুত্ববাদি রাজনীতি, উগ্রজাতীয়তাবাদ, এবং সাম্প্রদায়িকতা কাজ করেছে। তাদের ইশতেহারে আছে, ভারতের ৩৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করতে চায়, ৩৫ (ক) ধারা পরির্তন করতে চায়। অর্থাৎ মুসলিম পারিবারিক আইন পরিবর্তন করতে চায়।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিজিপি পশ্চিমবঙ্গে ঘোষণা করেছিলো, শুধু বৌদ্ধ হিন্দুদেরবাদে মুসলমানদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। তারা অবৈধ মুসলিমদের বলছে বের করবে, কিন্তু অবৈধের সজ্ঞা নির্ধারণ করেননি। তাদের এ বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আসামে এনআরসি আওতায় প্রায় ৪০ লাখ মুসলমান রয়েছে তাদেরকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি। তাদের বলা হয়েছে এরা বাংলাদেশি। তারা বলছে পশ্চিমবঙ্গ এনআরসি করবেন। এখন এই এনআরসি নাগরিকত্ব নিয়ে মুসলমাদের যদি আলাদা সনাক্ত করেন, এটা কে পুঁজি করে বাংলাদেশের ধর্ম ভিত্তিক উগ্র দলগুলো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতবিরোধী জনমত সৃষ্টি করতে তৎপর হবে।

ভারতের বিজিপি যা করেছে তা গণতান্ত্রিকভাবে করছে, কিন্তু বাংলাদেশের ধর্ম ভিত্তিক দলগুলোতো সেটা পারবে না? বিবিসি’র এ প্রশ্নের জবাবে, তারেক শামসুর বলেন, বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক দলগুলো ক্ষুদ্র হলোও কোনো ইস্যু সৃষ্টি হলে তা নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে তাদের কষ্ট হবে না। বিজিপির মতো বড় রাজনীতি শক্তি না হলে ও ভারতের কোথাও মুসলিম বিরোধী ঘটনা ঘটলে শুধু উগ্রধর্ম ভিত্তিক দলগুলো নয়, বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলগেুলোও সেটাকে পুঁজি করবে। বাংলাদেশেকে একটা অস্থিতিশীল করতে চাইবে। যেটা বাবরি মসজিদ নিয়ে আমাদের দেশে হয়েছিলো। মোদী সরকার যদি পশ্চিমবঙ্গে আসামের মতো নাগরিকত্ব নিয়ে এ অবস্থা সৃষ্টি করে তবে বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে। আমার মনে হয়, পশ্চিমবঙ্গে সে রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না, তাদের রাজনীতিবিদদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। সম্পাদনায়: রাশিদ রিয়াজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়