সুজন কৈরী : আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর পাশাপাশি রাজধানীর শপিংমলগুলোতে ডিএমপির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মার্কেটগুলোতে ছিনতাই, পকেট কাটাসহ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন করে তৈরি করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। ঈদে কেনাকাটায় বড় অঙ্কের টাকা আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে কাজ করছে ডিএমপির মানিস্কট সেবা। মার্কেট ও শপিংমলের অধিক জনসমাগমস্থলে পকেটমার, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান-মলম পার্টি প্রতিরোধে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ। মার্কেটের সামনে যানজট এড়াতে কোনো গাড়ি যাতে পার্কিং না করতে পারে সে লক্ষ্যে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশও।
রাজধানীর কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশ দ্বারের সামনে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। কেনাকাটা করতে যাওয়া লোকজনকে মার্কেটে প্রবেশের আগে তল্লাশি করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, নগরবাসীর মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হওয়ায় শপিং চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। গভীর রাতে ক্রেতাদের বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে টহল পুলিশ। এছাড়াও মার্কেটে ইভটিজিং প্রতিরোধে কাজ করছে পুলিশের বিশেষ টিম এবং মহিলাদের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে নারী পুলিশ সদস্যরা।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, ঈদ আসলে মানুষের কেনাকাটা বেড়ে যায়। শপিংমল ও মার্কেটগুলোতে লোকজনের সমাগম বেড়ে যায়। এ সময় পরিবার পরিজনকে নিয়ে ঈদ কেনাকাটায় নগরবাসী ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নগরবাসীর কেনাকাটায় নিরাপত্তা দিতে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধের পাশাপাশি রাজধানীর সব মার্কেট ও শপিংমলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।