শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে আগুন, পুড়ে গেছে যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন সামগ্রী 

প্রকাশিত : ২৩ মে, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল
আপডেট : ২৩ মে, ২০১৯, ০৪:২৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জঘন্য আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম নিয়ে একশো বছরেও নরমালি কোনো র‌্যাংকিংয়ে আসতে পারবে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

অর্চিতা বাড়ৈ : কোন কুক্ষণে যে ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডিগ্রির খায়েশ হইসিলো! যার জন্য এখনো ভুগতে হচ্ছে। না ঢাকা ইউনিভার্সিটির পড়াশোনার মান নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন তুলছিনা। সমস্যা হচ্ছে এর প্রাগৈতিহাসিক আমলাতান্ত্রিক জটিলতাওয়ালা সিস্টেম নিয়ে। এই যুগে এসেও যাদের কোনো ডাটা কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে সংরক্ষণ হয় না। একটা মিনিমাম মার্কশিট, সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে কয়েকমাস লেগে যায়। কয়েক জায়গায় ঘুরতে হয়, কয়েকদিন ঘুরতে হয়। আর প্রতি জায়গায় আলাদা করে টাকা! প্রতিবারই একই মান্ধাতার আমলের ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। কিন্তু আমার সব ইনফরমেশন তো তাদের ডাটা ব্যাংকে থাকা উচিত। প্রতিবার আমার ন্যাশনাল আইডি নম্বর, স্থায়ী ঠিকানা কি কাজে লাগে আমি জানি না। কোনো সার্টিফিকেটে সেগুলার উল্লেখও থাকে না।

ট্রান্সক্রিপ্ট তুলতে সব মার্কশিট তুলতে হবে। মার্কশিট তোলার ওইখানে সব ইনফরমেশন আবার আমাকেই লিখতে হবে। কতো সিজিপিএ, কতো তারিখ ফল প্রকাশ হইসে। অথচ এগুলা সবই তাদের ডাটা সার্ভিসে থাকা উচিত। শুধু আমার নাম আর আমার রোলটাই তো আমার পরিচিতি হওয়া উচিত। জাস্ট সার্চ দিয়ে ডাটা সার্ভিস থেকে আমার মার্কশিট বের হয়ে আসার কথা। দুইশো টাকার জায়গায় দরকার হলে দুই হাজার টাকা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে এই মার্কশিট প্রোভাইড করতে পারার কথা। এখনো সব কিছু ফাইলবন্দি অবস্থায় থাকে। ফাইল খুঁজে খুঁজে তথ্য জোগাড় করে তবেই তারা আমাকে দিতে পারবে আমার কাক্সিক্ষত মার্কশিট। এরপর তো আছে আজব মধ্যস্বত্বভোগী হল সিস্টেম। সারাবছর আমার হলের সঙ্গে কোনো কানেকশন নেই কিন্তু কোনো অফিসিয়াল কাজে মাঝখানে মিডলম্যান থাকবে স্টুডেন্টের হল। কেন? কি কাজ ওদের স্টুডেন্টের রেজাল্টের সঙ্গে?

এতো জঘন্য আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম নিয়ে আগামী একশো বছরেও জীবনে নরমালি কোনো র‌্যাংকিংয়ে আসতে পারবে না ঢাকা ইউনিভার্সিটি এবং এর মতো আমলাতান্ত্রিক জটিলতাওয়ালা পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলো বাংলাদেশের, যদি না ঘুষ না দিয়ে পায় আর কি র‌্যাংকিং! এবং আমি শিওর ঢাকা ইউনিভার্সিটি জন্মের সময় থেকেই এই সিস্টেম চলে আসতেসে। কেউ গত ৯৮ বছরে এর আমলাতান্ত্রিক জঘন্যতম ব্যবস্থাগুলো চেঞ্জ করার চেষ্টাও করেনি। অথচ গত একশো বছরে পৃথিবী এগিয়েছে কয়েকশো গুণ জোরে। আর মানুষের সময়ের মূল্যের কথা তো এসব কাজে বসে থাকা মানুষগুলোর মাথার উপর দিয়ে যাবে! ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়