লিহান লিমা: ব্রিটিশ অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতি ‘চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট’ এর সম্ভাবনা নিয়ে মঙ্গলবার কনজারভেটিভ নেতাদের সতর্ক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি বলেন, ‘যাই হোক না কেন ৩১ অক্টোবরের আগেই ব্রিটেনকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। এবং চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট হবে গণভোটের ফলাফল ছিনতাই ও জ্ঞাতভাবে আমাদের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার মানের ওপর মারাত্মকভাবে আঘাত করা।’ বিবিসি, দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট, ডেইলি মেইল
হ্যামন্ড আরো বলেন, ‘লেবারদের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনা ভেস্তে গিয়েছে কিন্তু সরকারের উচিত পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং ব্রিটেন সমর্থন করে এমন সমঝোতামূলক ব্রেক্সিট পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এটি চাকরি, ব্যবসা ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার সুরক্ষা করবে।’ এদিকে বরিস জনসন, ডোমিনিক রাব, আন্দ্রা লিডসন ও লি ট্রুসের মতো নেতারা বলছেন, যদি ইইউ নরম না হয় তবে তারা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের কথাই ভাবছেন। ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজে বলেছেন, ‘এখন একমাত্র উপায় জনগণের রায়।’ ২৯ মে ব্রিটেনের ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় এমপিরা অনুমোদন না দেয়ায় তা পিছিয়ে পড়ে।
জুনের প্রথম সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা পেশ করবেন থেরেসা। থেরেসা আশ্বস্ত করেছেন, তার নতুন প্রস্তাবনায় কর্মপরিবেশের সুরক্ষা, পরিবেশ নিরাপত্তা, কাস্টম ইউনিয়ন ও আইরিশ সীমান্ত ইস্যুর কৌশলগত সমাধান রয়েছে। এর আগে ‘ব্যাকস্টপ’ এর অভিযোগে তিনবার পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে থেরেসার ব্রেক্সিট প্রস্তাব। ইতোমধ্যেই গুরুত্বপূর্ণমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে থেরেসা বলেছেন, যদি তার এবারের ব্রেক্সিট প্রস্তাবনা ব্যর্থ হয় তবে এটি চুক্তি বিহীন ব্রেক্সিট, দ্বিতীয় গণভোট কিংবা সাধারণ নির্বাচন ডেকে আনবে। ব্রিটিশ প্রশাসন চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের আগাম পরিকল্পনা নিয়ে রেখেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :