হ্যাপি আক্তার : রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রকল্পের আবাসিক ভবনে ফার্নিচার ও বালিশ ক্রয়ের দুর্নীতির খবর এখন সবার মুখে মুখে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সরকারের দুই মন্ত্রী। আবাসিক ভবনে ফার্নিচার ও বালিশ কিনতে দুর্নীতির ঘটনা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা বলেছেন বিজ্ঞানমন্ত্রী। তবে প্রকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়ে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা কল্পনাপ্রসূত বলে মনে করেন বিজ্ঞানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রকল্পের সবাই পরমাণু কমিশনের নির্ধারিত স্কেলে বেতন পান। অপর দিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী জানিয়েছেন প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থার নেয়া হবে । চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
সরকারের সবচেয়ে বড়ো প্রকল্প, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হঠাৎ-ই দুর্নীতির খবরে সরগরম হয়ে ওঠে। পরমাণু শক্তি কমিশন বলেছেন, প্রকল্পে মাস্টাররোলে গাড়িচালক ও বাবুর্চিদের বেতন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৫’শ টাকা। বিজ্ঞানমন্ত্রী বলছেন, প্রকল্পের সবাই পরমাণু কমিশনের নিয়মিত স্কেলে বেতন পান।
বিজ্ঞানমন্ত্রী ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলছেন, আবাসিক প্রকল্পের কাজ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। তবে এই ধরণের দুর্নীতির ঘটনা ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা। এই ব্যাপারে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সরকারের টাকা কারো পকেটে চলে যাবে, এই নিয়ে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সংস্তার সাথেই সামঞ্জস্য করে এই বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে। রূপপুরের আবাসিক প্রকল্প গ্রিন সিটির নির্মাণ খরচ দেয়া হয় মূল প্রকল্পের তহবিল থেকেই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি কমিটির মাধ্যমে দেয়া হয় এই বরাদ্দ। সরকারের দুই
মন্ত্রী বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলে হয়েছে। সে ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ৯০ ভাগ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :