মঈন মোশাররফ : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও নিরাপত্তা উন্নয়নে ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড আরো ২৮১ দিন অর্থাৎ নয় মাস কাজ করতে পারবে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ রোববার এই আদেশ দেয়।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ’র আইনজীবী ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম রোববার ডয়চে ভেলেকে বলেন, রায়ে আদালত অ্যাকর্ড-এর কাজ করার ক্ষেত্রে নতুন কোনো শর্ত আরোপ করেননি। এ বিষয়ে মামলা চলাকালে বিজিএমইএ’র সঙ্গে অ্যাকর্ড-এর একটি এমইউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। আর সেটা মেনেই অ্যাকর্ডকে কাজ করে যেতে বলেছেন আদালত।
তবে ২৮১ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে দায়িত্ব বিজিএমইএ'র কাছে হস্তান্তর করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে অ্যাকর্ডের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, এ মাসেই বিজিএমইএ এবং অ্যাকর্ড দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করে একটি সমঝোতা স্মারক তৈরি করেছে। আমরা কি পদ্ধতিতে কাজ করবো, আমাদের চলে যাওয়ার পর কি হবে, কার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো এই বিষয়গুলো এমইউতে আছে।
তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে বিজিএমইএ একটি প্যানেল গঠন করবে। তারাও অ্যাকর্ডের সঙ্গে কাজ করবে এবং বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করবেন যেন আমরা চলে যাওয়ার পর তারা এটা চালিয়ে নিতে পারেন।
অ্যাকর্ডের এ আইনজীবী আরো বলেন, তারা চলে যাওয়ার পর যেন কোন শুন্যতা তৈরি না হয় সে বিষয়টির দিকে নজর রেখেই কারখানার মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে বড় পরিসরে সমঝোতাটি হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত কাজ করবে।
তিনি জানান, বিজিএমইএ এবং অ্যাকর্ড মিলে একটা সেল গঠন করবে যারা যৌথভাবে কাজ করবেন। আর অ্যাকর্ড যাওয়ার সময় এই সেলের কাছেই দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। সম্পাদনায় : কায়কোবাদ মিলন
আপনার মতামত লিখুন :