শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০১৯, ০৮:০৫ সকাল
আপডেট : ২০ মে, ২০১৯, ০৮:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুন্দরবনের কুমির জুলিয়েটের ডিম থেকে এবার বাচ্চা ফুটবে বলে আশা করা হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক : সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির জুলিয়েট এবার ৩৪টি ডিম দিয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কেন্দ্রের পুকুরপাড়ে নিজের বাসায় একে একে ডিমগুলো দেয় সে। এ নিয়ে ১৩ বার ডিম দিল ৩৫ বছর বয়সী জুলিয়েট। তবে গত দুই বছর ডিম দিলেও মা হতে পারেনি সে। দুবারই ডিমগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তাই এবার জুলিয়েটের দেওয়া ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে কৃত্রিম পদ্ধতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক পদ্ধতিও ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাকৃতিকভাবে বাচ্চা ফোটানোর জন্য তার বাসায় রাখা হয়েছে আটটি ডিম। বাকি ২৬টি ডিম কৃত্রিম পদ্ধতিতে ফোটানোর জন্য রাখা হয়েছে কেন্দ্রের ইনকিউবেটরে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।  সমকাল।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ফরেস্টার মো. আজাদ কবির জানান, নোনাপানির কুমির জুলিয়েট গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রের পুকুরপাড়ে তৈরীকৃত তার বাসায় ডিম দিতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে একে একে ৩৪টি ডিম দেয় সে। গত দু'বছর জুলিয়েটের ডিম থেকে কোনো বাচ্চা না ফোটায় এবার ভিন্ন উপায় অবলম্বন করা হয়েছে। প্রাকৃতিকভাবেও ডিম ফোটাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজাদ কবির বলেন, গত বছর ৫০টি ও তার আগের বছর ৪৩টি ডিম দেয় জুলিয়েট। কিন্তু এসবের একটি ডিম থেকেও গত দু'বছর কোনো বাচ্চা ফোটেনি। সব ডিম নষ্ট হয়ে যায়। তবে এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলিয়েটের পরিবারে নতুন অতিথি আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, একসময় বাংলাদেশে নোনাপানির কুমির, মিঠাপানির কুমির ও ঘড়িয়াল- এই তিন প্রজাতির কুমিরের অস্তিত্ব ছিল। এর মধ্যে মিঠাপানির কুমির ও ঘড়িয়াল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধু নোনাপানির কুমিরই কোনোভাবে টিকে আছে। তাই বিলুপ্তপ্রায় এ প্রজাতির কুমির রক্ষায় পদক্ষেপ নেয় বন বিভাগ। এ কুমিরের প্রজনন, বৃদ্ধি ও তা সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে ২০০২ সালে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজলে বন বিভাগের উদ্যোগে সরকারিভাবে গড়ে তোলা হয় দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটি। বর্তমানে এখানে নোনা পানির প্রজাতির ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৯৭টি কুমির রয়েছে। এদের মধ্যে ছয়টি কুমির বড়, যার মধ্যে স্ত্রী কুমির 'জুলিয়েট' ও 'পিলপিল' রয়েছে। বাকি চারটি পুরুষ প্রজাতির।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়