শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০১৯, ০৫:১২ সকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০১৯, ০৫:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হেনস্তা থেকে সতর্ক হতে বিশেষজ্ঞদের কিছু কৌশল

নুর নাহার : আমাদের দেশে মেয়েরা নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়। বহুতল ভবনের লিফটে, নিজ বাসায়, যানবাহনে বা রাতে একাকী রাস্তায়। অনেক সময় সাহায্য করার মতো কেউ পাশে থাকে না। এমতাবস্থায় নিজেকেই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়। তাই বিশেষজ্ঞদের কিছু কৌশল জেনে রাখা ভালো।

১। রাতে একা বহুতল ভবনের লিফটে সন্দেহজনক পুরুষকে লক্ষ্য করলে এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ধরুন, আপনি ১৩ তালায় যাবেন। লিফটে উঠে ১৩ পর্যন্ত সবগুলো বাটন প্রেস করুন। কারো সাহস হবে না প্রতি তালায় থামছে এমন লিফটে আপনার উপর হামলা করবে।

২। আপনি বাসায় একা। কেউ যদি আপনার উপর হামলা করার চেষ্টা করে তাহলে সোজা রান্নাঘরে চলে যান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধুমাত্র আপনিই জানেন আপনার রান্নাঘরে কোথায় মরিচ, হলুদের গুড়া আছে। কোথায় ছুড়ি-চামচ বা প্লেট আছে। এইগুলোই ভয়ংকর হাতিয়ার হিসেবে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কিছু না হলেও অন্তত প্লেট ছুড়ে মারুন তার দিকে। প্লেট ভেঙে যাক বা খুব শব্দ হোক। মনে রাখবেন, আওয়াজ হলো একজন মলাস্টারের বড় দুশমন। কারণ তারা চাইবেই না যে কেউ আওয়াজ শুনে তাকে ধরে ফেলুক।

৩। রাতে কোথাও যেতে বা বাসায় ফিরতে ট্যাক্সি বা অটো নিতেই হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাতে অটো বা ট্যাক্সিতে উঠার সময় ড্রাইভারকে শুনিয়ে শুনিয়ে কাউকে কল দিয়ে তার নাম, গাড়ীর নাম্বার আর সব বিস্তারিত বলে দিন। কেউ কল না ধরলেও এমন ভান করুন যে আপনি কথা বলছেন। এরপর আর ড্রাইভারের সাহস হবে না আপনাকে কিছু করার। কারণ সে জানে আপনার কিছু হলে তার বিপদ সব থেকে বেশি। সে নিজ দায়িত্ত্বে আপনাকে নিরাপদে বাড়ি নিয়ে যাবে।

৪। ড্রাইভার যদি এমন কোন রাস্তায় নিয়ে যায় যেদিকে তার যাবার কথা না, আর আপনার মনে হয় আপনি বিপদে পরতে যাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার ব্যাগের হ্যান্ডেল বা ওড়না তার গলাতে পেচিয়ে পিছন থেকে টান দিন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সে অসহায় ফিল করবে। আপনার কাছে ব্যাগ বা ওড়না না থাকলে, তার শার্ট এর কলার ধরে টান দিন। শার্ট এর প্রথম দুইটি বোতাম সেই একই কাজ করবে।

৫। রাতের বেলায় রাস্তায় হেঁটে যেতে কেউ পিছু নিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো দোকান বা বাসায় চট করে ঢুকে পড়ুন আর আপনার অবস্থা তাদের জানান। রাত বেশি হলে যদি কোন দোকান খোলা না পান। তাহলে এটিএম বুথ এ চলে যান। সেখানে সারা রাতই প্রায় গার্ড থাকে। না থাকলেও অন্তত সিসিটিভি থাকবে। এমন যায়গায় কেউ আপনাকে আক্রমণ করার সুযোগ পাবে না।

৬। কারো থেকে পানি, জুস বা সফট ড্রিঙ্কস খাবে না। দোকান থেকে কেনার আগে তা ভালো মত সিল করা কিনা দেখে নিন। সিল করা না হলে কিনবেন না।

৭। সবসময় নিজের কাছের কেউ, যেমন ভাই/বাবা/স্বামী/বন্ধু কারো নাম্বার স্পিড ডায়ালে রেখে দিন। যেন আপনি বিপদ ফিল করলে একটা বোতাম চাপার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে খবর দিতে পারেন। পারলে সাথে পিপার স্প্রে রাখুন।

সব সময় আপনার সব থেকে বড় হাতিয়ার হল আপনার মানসিক শক্তি আর সতর্কতা। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়