শিরোনাম
◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০১৯, ০৯:২৬ সকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০১৯, ০৯:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রমজানে মুমিনের দৈনন্দিন কর্মসূচী

ইসলাম ডেস্ক : রহমত, ক্ষমা, নাজাত ও কুরআনের মাস রমজান। এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা কি রমজানের এই মহামূল্যবান সময়গুলোকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারছি? আসুন না একটি তালিকা তৈরি করি যেন এই মাসের প্রতিটি মুহূর্তে নেকি কুড়িয়ে আখেরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে পারি।

ফজর পূর্বে:
(১) আল্লাহর দরবারে তাওবা-ইস্তেগফার ও দুয়া: কারণ মহান আল্লাহ প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পৃথিবীর আকাশে অবতরণ করে বলেন, “কে আছে আমার কাছে দুআকারী, আমি তার দুআ কবুল করবো”।[ মুসলিম ]
(২) সাহরী ভক্ষণ: নবী স. বলেন , “সাহরী খাও। কারণ সাহরীতে বরকত আছে”।[বুখারী মুসলিম ]

ফজর হওয়ার পর:
(১) ফজরের সুন্নত আদায়: নবী স. বলেন, “ফজরের দুই রাকাআত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা আছে তার থেকে উত্তম”। [ মুসলিম ]
(২) ইকামত পর্যন্ত দুআ ও যিকিরে মশগুল: নবী স. বলেন, “আযান ও ইকামতের মাঝে দুআ ফিরিয়ে দেওয়া হয় না”।[আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ]
(৩) ফজরের নামায আদায়: নবী স. বলেন, “তারা যদি ইশা ও ফজরের ফযীলত জানতো, তো হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত”। [বুখারী ও মুসলিম]
(৪) সূর্যোদয় পর্যন্ত সকালে পঠিতব্য দুআ-যিকর ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে মসজিদে অবস্থান: “নবী স. ফজর নামাযের পর নিজ স্থানেই সূর্যোদয় পর্যন্ত অবস্থান করতেন”। [ মুসলিম ]
(৫) সূর্যোদয়েরে পর দুই রাকাআত নামায: নবী স. বলেন, “যে ব্যক্তি জামায়াতের সহিত ফজরের নামায পড়লো, অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকর করলো, তারপর দুই রাকাআত নামায আদায় করলো, তার জন্য এটা একটি পূর্ণ হজ্জ ও উমরার মত ”। [ তিরমিযী ]
(৬) নিজ নিজ কর্মে মনোযোগ: নবী স. বলেন, “নিজ হাতের কর্ম দ্বারা উপার্জিত খাদ্যের চেয়ে উত্তম খাবার নেই”। [ বুখারী ]

জোহরের সময় :
(১) জামায়াতের সহিত জোহরের নামায আদায়। অতঃপর কিছুক্ষণ কুরআন কিংবা অন্যান্য দ্বীনি বই পাঠ।
(২) আসর পর্যন্ত বিশ্রাম, কারণ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমার উপর তোমার শরীরেরও হক আছে।

আসরের সময় :
(১) আসরের নামায জামাতের সাথে সম্পাদন: অতঃপর ইমাম হলে নামাযীদের উদ্দেশ্যে দারস প্রদান কিংবা দারস শ্রবণ কিংবা ওয়ায নসীহতের জ্ঞান অর্জন। নবী স. বলেন, “যে ব্যক্তি মসজিদে ভাল কিছু শিক্ষা নিতে কিংবা শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে গেল, সে পূর্ণ এক হজের সমান নেকী পেল”। [ ত্ববারানী ]
(২) পরিবারের সদস্যদের সাথে ইফতারির আয়োজনে সহায়তা করা: এর মাধ্যমে যেমন কাজের চাপ হালকা হয়, তেমন পরিবারের সঙ্গে ভালবাসাও বৃদ্ধি পায়।

মাগরিবের সময়
(১) ইফতারি করা এবং এই দুআ পাঠ করা: “যাহাবায্ যামাউ ওয়াব্ তাল্লাতিল্ উরূকু ওয়া সাবাতাল্ আজরু ইন্ শাআল্লাহু তাআলা”। অর্থ: পিপাষা নিবারিত হল, রগ-রেশা সিক্ত হল এবং আল্লাহ চাইলে সওয়াব নির্ধারিত হল। [ আবূ দাউদ ]
(২) মাগরিবের নামায জামায়াতের সঙ্গে আদায় করা যদিও ইফতারি পূর্ণরূপে না করা যায়। বাকি ইফতারি নামাযের পর সেরে নেওয়া মন্দ নয়। অতঃপর সন্ধ্যায় পঠিতব্য যিকির-আযকার পাঠ করে নেওয়া।
(৩) স্বভাবানুযায়ী রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে একটু বিশ্রাম করে তারাবীর নামাযের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

ইশার সময় :
(১) জামায়াতের সহিত ইশার নামায আদায় করা।
(২) ইমামের সাথে সম্পূর্ণ তারাবীর নামায আদায় করা। নবী স. বলেছেন: “যে ব্যক্তি ঈমান ও নেকীর আশায় রমজানে কিয়াম করবে, (তারাবীহ পড়বে ) তার বিগত সমস্ত (ছোট গুনাহ) ক্ষমা করা হবে”। [বুখারী ও মুসলিম]
(৩) সম্ভব হলে বিতরের নামায শেষ রাতে পড়া। নবী স. বলেন: “তোমরা বিতরকে রাতের শেষ নামায কর”। [মুত্তাফিকুন আলাইহ] -কুরআনের আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়