শিরোনাম
◈ জুলাই ঘোষণাপত্র না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ◈ নিষিদ্ধ হয়ে গণহত্যাকারীরা সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পরিকল্পনা করছে: আসিফ মাহমুদ ◈ সাভারে মেয়ের হাতে বাবা খুনের আসল ঘটনা নিয়ে যা জানা গেলো ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতি ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে আনন্দ উল্লাস! (ভিডিও) ◈ পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশকে জামায়াতের কাছে লিজ দিন: ডা. তাহের ◈ জনগণ পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান (ভিডিও) ◈ লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো যুবকের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ, আসলে কী হয়েছিলো? যা জানাগেল (ভিডিও) ◈ তামিম ইকবালকে নিয়ে যা বললেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে এতদিন পরে রাস্তায় কেন?

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০১৯, ০৬:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৪ মে, ২০১৯, ০৬:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত মিয়ানমারের সামরিক কর্মকর্তার কোম্পানির সঙ্গে ২৯ কোটি ডলারের বাণিজ্যচুক্তি করলো ভারতের আদানী গ্রুপ

আব্দুর রাজ্জাক : ভারতের আদানী গ্রুপ মিয়ানমারের যে হোল্ডিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে তা দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর সশস্ত্র বাহিনীর এই সদস্যের রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘের তদন্ত দল। গার্ডিয়ান

মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের কাছে একটি কনটেইনার বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত কলয়া কোম্পানি কারমাইকেল। আর এই কোম্পানিতে ভারতের আদানী গ্রুপের অংশিদারিত্ব রয়েছে। কারমাইকেল যে বন্দরটির উন্নয়ন কাজ করবে তা সশস্ত্র বাহিনীর কোম্পানি মিয়ানমার ইকোনোমিক কর্পোরেশন (এমইসি) এর জমিতেই অবস্থিত। এটি মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর অন্যতম আয়ের উৎস।

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ৩ জনের অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী ক্রিস সিডোতি। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর দায়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের ওপর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয় গতবছর। তাতে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার না করতে পরামর্শ দেয়া হয়। এমনকি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমন সব কোম্পানির সঙ্গেও বাণিজ্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।

তিনি আরো বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের ওই সেনাদের অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে ও তাদের গণহত্যায় অভিযুক্ত জেনারেলদেরও সম্পদশালী করছে।

তবে এই চুক্তির মাধ্যমে না জাতিসংঘ, না অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কারো নিষেধাজ্ঞাই লংঘন হয়নি বলে দাবি করে আদানি। এমনকি মানবাধিকারের বিষয় বিবেচনায় এই প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়