ডেস্ক রিপোর্ট : দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে। ২৩ এপ্রিল থেকে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন তথ্য সংগ্রহকারীরা। আর তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে ১৩ মে পর্যন্ত।
২০০৭-২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় কোনো কাগজপত্র বা দলিলালি না নিলেও এবার থেকে নিবন্ধনের সময় প্রয়োজনে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে নাগরিকদের।
সম্প্রতি সব সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো ইসির সহকারি সচিব মো. মোশাররফ হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০৪ সালের পয়লা জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের তথ্যও নিবন্ধনের জন্য সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া, এ কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা হতে মৃত ভোটারের নাম কর্তন এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
যেসব কাগজপত্র লাগবে:
তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন। নিবন্ধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণকৃত নিবন্ধন ফরমের সাথে জন্ম সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাশের সনদের ফটোকপি সংগ্রহ করতে হবে।
এছাড়াও অন্যান্য কাগজপত্র যেমন- নাগরিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র/বাড়ি ভাড়া/হোল্ডিং ট্যাক্স/পরিশোধের রসিদের কপি জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েও ভোটাররা নিবন্ধন করতে পারবেন।
ভোটার নিবন্ধন ফরম-২ এর সাথে জন্ম সনদ বা অন্যান্য কাগজাদি সংযুক্ত করে গেঁথে রাখতে হবে।
উল্লেখ্য, ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩(কক ) এ নামের সংজ্ঞায় শিক্ষা সনদসমূহের পাশাপাশি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ এর অধীন নিবন্ধিত নামকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মৃত ভোটারের নাম কর্তনে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ:
বিদ্যমান ভোটার তালিকাভুক্ত ভোটারদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন অথচ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছেন, তাদের নাম ভোটার তালিকা বিধিমালা মোতাবেক কর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তথ্য সংগ্রহকারীরা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত মৃত ভোটারের নাম কর্তনের লক্ষ্যে ফরম-১৪ পূরণপূর্বক সংগ্রহ করবেন। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/ সিটি করপোরেশনের জন্ম ও মৃত্যু রেজিস্টার হতে মৃত ভোটার সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। তবে মৃত ভোটারের তথ্য সংগ্রহে ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বল করতে হবে।
ভোটার এলাকা স্থানান্তর:
এক ভোটার এলাকা হতে অন্য ভোটার এলাকায় স্থানান্তরের লক্ষ্যে ফরম-১৩ (স্থানান্তর) পূরণ করে প্ৰয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ সরাসরি স্থানান্তরিত এলাকার থানা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পর যথাযথ যাচাই-বাছাই ও তদন্ত স্বাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ভোটার এলাকা স্থানান্তর করা যেতে পারে।
এছাড়া, তথ্যসংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়েও ভোটার স্থানান্তরের তথ্য সংগ্রহ করবেন।
নিবন্ধন কার্যক্রম:
নিবন্ধন কেন্দ্রে ভোটারের তথ্য সঠিকভাবে এন্ট্রি করা হয়েছে কিনা ডাটা এন্ট্রির পর তার তথ্যাদি মুদ্রণ করে আবেদনকারীর স্বাক্ষর গ্রহণ এবং স্বাক্ষরিত প্রিন্ট কপিটি নিবন্ধন ফরম ও অন্যান্য ডকুমেন্টস এর সাথে স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ডাটার সাথে সংযুক্ত করে রাখতে হবে।
এছাড়া, সংশ্লিষ্ট ভোটারের আইরিশ এবং ১০ আঙুলের ছাপের বায়োমেট্রিক গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এবার ২০০১, ২০০২, ২০০৩ ও ২০০৪ সালের পহেলা জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম এমন নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে ২০০১ ও ২০০২ সালের পয়লা জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম, তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হবে। পরবর্তীতে বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে, তাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।
সূত্র ; পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :