নাঈম কামাল : সরকারের নানা উদ্যোগে মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে ব্যবসায়ীদের। গেলো ১০ বছরে এ ইপিজেডের রপ্তানি ও বিনিয়োগ বেড়েছে কয়েক গুণ। বাড়ছে কর্মসংস্থানও। দক্ষিণাঞ্চলের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন এ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে আরো গতিশীল করবে বলে মনে করে কর্তৃপক্ষ। সুবিধা পাওয়ায় এখানে বিনিয়োগ করে সন্তুষ্ট বিদেশি ব্যবসায়ীরাও। সময় টিভি
১৯৯৮ সালে ২শ' ৯০ একর জমিতে শুরু হয় মোংলা ইপিজেডের নির্মাণ কাজ। ২০০১ সালের পহেলা মার্চ শুরু হয় রফতানি। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার অভাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি এই ইপিজেডটি।
২০০৮ সাল থেকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেই থেকে বিগত ১০ বছরে মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৪৫ কোটি থেকে ৫শ' ২৫ কোটি টাকায়। রফতানি বেড়ে দাঁড়ায় ২শ' ৯৫ কোটি থেকে ৪ হাজার ৮শ' কোটি টাকায়।
এ ইপিজেডে বিনিয়োগ করছে বাংলাদেশসহ আরো ১৪ টি দেশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের অন্যান্য ইপিজেডের তুলনায় এখানে বেশি সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
জিএল গ্র্যাপ কোং লিমিটেড নির্বাহী পরিচালক জং কেউন পার্ক বলেন, মোংলা ইপিজেডের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা প্রতিনিয়ত কাজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এখানকার কর্মচারিরা বেশ দক্ষ আর বুদ্ধিমান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরো বাড়াতে চাই।
২০০৮ সাল পর্যন্ত এখানে কর্মসংস্থান ছিলো ১ হাজার ৮ জনের। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮শ' জনে।
বর্তমানে এখানে ২৯ টি উৎপাদনক্ষম শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। নির্মাণাধীন রয়েছে আরো ১৪ টি।
আপনার মতামত লিখুন :